প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩ ২২:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩ ২৩:২১ পিএম
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জনমনে নেমেছে স্বস্তি। ছবি: আলী হোসেন মিন্টু
টানা দাবদাহের পর ঢাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মধ্যে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৭টার পর রাজধানী ঢাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় অস্থায়ীভাবে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার।
গত রবিবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে আঘাত হানা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভারি বর্ষণের আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ঢাকায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ছিল। ঢাকায় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার। রংপুরে ছিল ৭২ ও সাতক্ষীরায় ৫৭ কিলোমিটার। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘দাবদাহ শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ আশপাশের রাজ্য, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস ও থাইল্যান্ড পর্যন্ত বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে ময়েশ্চার (আর্দ্রতা) নেই। ভারতের উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশের আকাশেও মেঘ জমতে পারছে না।’
তিনি বলেন, খুলনা, রাজশাহী ও ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো ও যশোর মেঘমুক্ত। ভূপৃষ্ঠের বাতাসও উত্তপ্ত। শুধু আরব সাগর থেকে কিছুটা আর্দ্রতা আসছে, সেটিও বাধা পড়ছে। ফলে গরম কমছে না। তবে গত কয়েকদিনে ১-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে।
এদিন আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ৬০ মিলিমিটার। তা ছাড়া চট্টগ্রামে ২৩, সন্দ্বীপে ২০, ফেনী ও যশোরে ১৪, ডিমলায় ৩৩, রাজারহাটে ২৪, রাজশাহীতে ১২, গোপালগঞ্জে ১০, ঈশ্বরদীতে ৫, রংপুরে ২, দিনাজপুরে ১০, সৈয়দপুরে সামান্য, তেঁতুলিয়ায় ১০, ময়মনসিংহে ২১, সীতাকুণ্ডে ৩, রাঙ্গামাটিতে ২, মাইজদীকোর্টে ৮, কক্সবাজারে ২, টেকনাফে ৩, বান্দরবানে ৫, খুলনা, মংলা ও ভোলায় ৯, সাতক্ষীরায় ৬, চুয়াডাঙ্গায় ৭, বরিশালে ১, পটুয়াখালীতে ১২, খেপুপাড়ায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।