প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৩ ২১:৩০ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৩ ২১:৪৭ পিএম
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৪০টি পোল্ডার পুনর্নির্মাণে ঋণসহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংগৃহীত ফটো
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৪০টি পোল্ডার (পলিযুক্ত মাটির বাঁধ) পুনর্নির্মাণ ও স্থানীয় জনগণের জীবন-জীবিকা উন্নত করতে নতুন একটি প্রকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) ঋণসহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এ নিয়ে বুধবার (৩ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে টেকসই উপকূলীয় বাঁধ ব্যবস্থাপনা কৌশলের ওপর এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, উপকূল এলাকায় ১৪০টি পোল্ডারের প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার বাঁধ বহু বছর আগে নির্মিত। কয়েক দশক পুরোনো এসব বাঁধ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি তথা সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী বা সমুদ্রের ঢেউয়ের কারণে ভাঙন মোকাবিলায় অধিকতর শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন।
জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলা করার উপযোগী টেকসই উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য দেন পাউবোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা) আমিরুল হক ভুঞা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিয়ন) এসএম শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক সিইআইপি ও প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম পিইঞ্জ, আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক জহিরুল হক খান, প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) ড. শ্যামল চন্দ্র দাস, বিশ্বব্যাংকের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ স্বর্ণা কাজীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম পিইঞ্জ ও আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক জহিরুল হক খান।
টেকসই উপকূলীয় বাঁধ ব্যবস্থাপনার ওপর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা কর্মশালায় মতামত ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় বুয়েট, বন বিভাগ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, এনজিও প্রতিনিধি, আইডব্লিউএম, সিইজিআইএস, ডিডিএম, এলজিইডি, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রতিনিধি, জাইকাসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা মতামত প্রদান করেন।