প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৩৪ এএম
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৩ ১০:০১ এএম
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বজ্রপাতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দেশের ৮ বিভাগের ৬৪ জেলাতেই বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর ঝড় হতে পারে। এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশে প্রচুর বজ্রপাত হয়ে থাকে। তাতে অনেক মানুষের প্রাণ যায়। বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে বেশকিছু কৌশল অবলম্বন করা দরকার বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান।
এ মৌসুমটি বজ্রপাতের উল্লেখ করে তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এপ্রিল-মে মাসে বেশি বজ্রপাত হয়। মাঠে যারা কাজ করতে যাবেন, তাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আকাশে মেঘ চমকালে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে।
বজ্রপাতের সময় কী করণীয়- এ প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রহমান বলেন, বজ্রপাত একটি মাধ্যমে আসে। বেশিরভাগই বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হয়। আকাশে কালো মেঘ জমতে থাকলে বা বৃষ্টি হতে থাকলে নিরাপদ আশ্রয় বা ঘরের মধ্যে চলে যেতে হবে।
বেশিরভাগ সময় কৃষকরা যখন মাঠে কাজ করতে থাকে, তখন বজ্রপাত হয়। সে সময় কী করণীয়- এ সম্পর্কে তিনি বলেন, যতটা সম্ভব জড়সড়ো হয়ে থাকতে হবে। নিজেকে গুটিয়ে নিতে হবে। দু পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে যতটা সম্ভব মাটির সঙ্গে মিশে যেতে হবে। এটি না হলে খোলা মাঠে ভিন্ন কিছু করার নেই।
বড় কোনো গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির নিচে দাঁড়ালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। এজন্য এসব স্থান ত্যাগ করতে হবে।
শুক্রবার বেলা ১১টা ও বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এসব বজ্রপাতে জৈন্তাপুর উপজেলার বিসনাটেক গ্রামের সুলেমান আহমদের ছেলে নাঈম আহমদ (৮), দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে আনজুমা বেগম (৬) ও বাংলাবাজার গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে ইমন আহমেদের (১০) মৃত্যু হয়।