বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৪১ এএম
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:১৬ পিএম
বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহের অবসান হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক- এ কামনায় বর্ণিল সাজে অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি।
‘বরিষ ধরার মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বের হয়। শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পায়।
সকালে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। শোভাযাত্রায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএস এম মাকসুদ কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয় পুরো এলাকা।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রধান আকর্ষণ দুই মোটিফ হলো মায়ের কোলে শিশু এবং নীলগাই। মায়ের কোলে সন্তান যেমন নিরাপদ, প্রতীকীভাবে বৈশ্বিক শান্তির বার্তা ছিল সেখানে। এ ছাড়া বিপন্ন হারিয়ে যাওয়া প্রাণীদের প্রতীকী হিসেবে রাখা হয় নীলগাই। এ ছাড়াও আরও চারটি মোটিফ শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত হয়। সেগুলো হলো বাঘ, ময়ূর, ভেড়া ও হরিণ। চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হওয়ার পর ঢোলের তালে তালে নাচতে শুরু করেন অংশগ্রহণকারীরা। অনেকেই রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা উপভোগ করেন। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেছে বিদেশি নাগরিকদেরও। বাঙালি সাজে সাজেন তারাও।
মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের সমাগম বাড়তে থাকে। গত বছরের মতো এবারও তুলনামূলক লোকসমাগম ছিল কম। বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানে আগত নারীদের পরনে শোভা পায় লাল-সাদা পোশাক, মাথায় নানান রঙের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে ছিল হলুদ- লাল-সাদা পাঞ্জাবি।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো রয়েছে পুরো এলাকা। সর্বোচ্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। প্রথমে এলিট ফোর্স র্যাব, সোয়াট টিম, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ। এ ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের টিমও তৎপর ছিল।