প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০১:০৪ এএম
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৩০ পিএম
সংগৃহীত ফটো
মাত্র একদিনের ব্যবধানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে নতুন রেকর্ডের খবর জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বুধবার রাত ৯টার পর দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৯৩২ মেগাওয়াট, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার পর দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। যদিও এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়াতে এ সময় গরমের তীব্রতা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এতে এপ্রিলের গরমজুড়ে একদিনের তুলনায় অন্যদিন বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে থাকে। এতে পুরাতন রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়।
মন্ত্রণাল সূত্র বলছে, এবার গ্রীষ্ম শুরুর আগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমান সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট হতে পারে বলে ধারনা করেছিল। কিন্তু এতোমধ্যে তার থেকে প্রায় ৪৩২ মেগাওয়াট বেশি চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ গ্রীষ্ম শুরুর আগেই যে প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল তার চেয়ে বাস্তবে বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হচ্ছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল যে কোনো মূল্যে সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই লক্ষ্য পূরণে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
বর্তমানে দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট হলেও সর্বোচ্চ উৎপাদন সম্ভব ১৫ হাজার ১৮২ মেগাওয়াট। গত সোমবার গ্যাস স্বল্পতায় ২ হাজার ৪০৭ মেগাওয়াট, কয়লা সংকটে ১২৯ মেগাওয়াট, পানির অভাবে ২০৫ মেগাওয়াট এবং কেন্দ্র সংষ্কার ও মেরামতের কারণে দুই হাজার ১৩৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়নি। এখন ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ১ হাজার ৯০৭ মেগাওয়াট।