প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৩৪ পিএম
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:০১ পিএম
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় আইজিপি বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অসামান্য অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। তিনি তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যুতে আমাদের দেশে বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক শূন্যতা তৈরি হলো, যা পূরণ হবার নয়।‘
শোকবার্তায় আইজিপি মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী রবিবার মারা গেছেন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরায় জন্ম সাজেদা চৌধুরীর। তার বাবা সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ, মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। সাজেদার স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী।
১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন সাজেদা চৌধুরী। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন সাজেদা। আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৯২ সাল থেকে আমৃত্যু ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
২০১৯ সালে ফরিদপুর-২ আসন থেকে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাজেদা চৌধুরী। এরপর টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বন ও পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন সাজেদা।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, বাংলাদেশ গার্ল গাইডসের ন্যাশনাল কমিশনার, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
প্রবা/এনএস/এমজে