× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রাজনৈতিক অঙ্গনে শূন্যতার সৃষ্টি হলো : রাষ্ট্রপতি

প্রবা ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:২৩ পিএম

আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৩৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাজেদা চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত্তি সুদৃঢ় রাখতে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘দেশের যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে তার অসীম সাহসিকতা ও আপসহীন নেতৃত্ব জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছে। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শূন্যতার সৃষ্টি হলো।’

রাষ্ট্রপতি মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী রবিবার মারা গেছেন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরায় জন্ম সাজেদা চৌধুরীর। তার বাবা সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ, মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। সাজেদার স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী।

১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন সাজেদা চৌধুরী। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন সাজেদা। আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৯২ সাল থেকে আমৃত্যু ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

২০১৯ সালে ফরিদপুর-২ আসন থেকে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাজেদা চৌধুরী। এরপর টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ছিলেন সাজেদা।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, বাংলাদেশ গার্ল গাইডসের ন্যাশনাল কমিশনার, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।


প্রবা/আরকে/ এসআর

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা