প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১০:০৩ এএম
ফাইল ফটো
ঢাকার মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় গঠন হচ্ছে পুলিশের বিশেষ ইউনিট ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ। সোমবার (১০ এপ্রিল) প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব সভায় এমআরটি পুলিশের প্রস্তাব অনুমোদন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানিয়েছেন, সচিব সভায় প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ যাবে। এরপরই পদগুলোর বিপরীতে পুলিশ সদস্যদের পদায়ন বা বদলি করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, এমআরটি পুলিশ নামে বিশেষায়িত এই ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩৫৭টি পদের জনবলকাঠামো নির্ধারণ হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি ক্যাডার পদ ও ৩৫৪টি নন-ক্যাডার পদ থাকবে। অনুমোদনের পরই দ্রুত মেট্রোরেল পুলিশের কাজ শুরু হবে। এই ইউনিটের সদস্যদের জন্য থাকবে আলাদা ইউনিফর্ম।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য প্রথমে রেলওয়ে পুলিশের অধীনে ব্যবস্থাপনার বিষয়টি ভাবা হয়। পরে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মেট্রোরেলের জন্য আলাদা বিশেষ পুলিশ ইউনিট গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই পুলিশের আলাদা ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ওঅ্যান্ডএম) ফারুক আহমেদ বলেন, ইউনিটটি গঠনে সব কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে একটি সভা রয়েছে। কেবিনেট সেক্রেটারির সভাপতিত্বে মিটিংয়ে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা ও এর আশপাশে পাঁচটি মেট্রোরেল নির্মিত হচ্ছে। এর আওতায় থাকছে ১২৮ কিলোমিটার যোগাযোগব্যবস্থা। এর মধ্যেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথমাংশ।
মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে এটিএম বুথ, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ও দোকান থাকবে। প্রতিমুহূর্তে যাতায়াত করবে কয়েক হাজার যাত্রী। এজন্য প্রত্যেকটি স্টেশনে পুলিশ ফাঁড়ির প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল ও ৫৩টি পাতালস্টেশনসহ মোট ১০৪টি স্টেশন তৈরি হবে। বিশাল এ স্থাপনা ও যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের হাতে দিতে এ বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠন করা হচ্ছে।