প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:১৪ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:২৫ পিএম
সৌদি আরবের হারাম শরিফ। সংগৃহীত ফটো
চলতি মৌসুমে হজ প্যাকেজের খরচ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যেই আগামীতে হজের খরচ আরও বাড়বে বলে প্রচারণা চালাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও সৌদি আরবের হারাম শরিফের নিকটবর্তী বিভিন্ন হোটেল ভেঙে ফেলায় এ বছর হোটেল ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং অধিক পরিমাণ অর্থ দিয়ে হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন কারণে এ বছর হজ প্যাকেজকে হ্রাসকৃত প্যাকেজ হিসেবে ধরা যায়।
একই ধারাবাহিকতায় বলা যায়, আগামী বছরগুলোয় হজ প্যাকেজের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ ভেঙে ফেলা বাড়ি/হোটেলসমূহ আবার গড়ে তুলতে ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে। এ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ঘোষিত হজ প্যাকেজই সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হজযাত্রীদের এ বছরই হজ প্যাকেজে নিবন্ধিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই প্রাক-নিবন্ধন করেও শেষ পর্যন্ত হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করছেন না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাত দফা সময় বাড়িয়ে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারিতে নিবন্ধনের বাকি রয়েছে ৮ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে হজের খরচ ১১ হাজার ২৭৫ টাকা কমিয়ে তিন দফা সময় বাড়ানোর পরও ১০ হাজার হজযাত্রীর নিবন্ধন করাতে পারেনি। শেষ সময় নির্ধারিত কোটা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে কর্মকর্তারা।