প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৬ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩৩ পিএম
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে কমিশনের মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম। সংগৃহীত ছবি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সচিবালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশন। রোডম্যাপ থেকে যেন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা পিছিয়ে না পড়ে সে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম এসব কথা বলেন।
সমন্বয় সভার এ বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমানসহ ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাংগীর আলম বলেন, ’মাসিক সমন্বয় সভা ছিল। ইসির সকল কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলাম। নির্বাচন কমিশনাররাও ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবলায়কে নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন তাদের ঘোষিত রোডম্যাপ থেকে পিছিয়ে না থাকি।’
তিনি বলেন, ’নির্বাচনের আপ টু বটম, মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন পর্যন্ত সকল বিষয়ের ওপর তারা রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন কোনো বিষয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।’
সচিব বলেন, ’মাঠপর্যায় থেকে আমরা জানতে চেয়েছি ব্যালট বক্সগুলো কোথায় আছে, কীভাবে আছে। সেগুলো যাচাই করে তারা আমাদের রিপোর্ট দেবে। এগুলো বাস্তবিক অর্থেই ইসির অভ্যন্তরীণ কাজ।’
পাঁচ সিটির ভোটের সিদ্ধান্ত কমিশন বৈঠকে হবে বলেও জানান তিনি।
আরপিও সংশোধন সম্পর্কে জাহাংগীর আলম বলেন, ’স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আরপিও নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেখানে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। নীতিগত অনুমোদন বলতে যে প্রস্তাবনাগুলো আছে সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবে। তারপর পরবর্তী সভায় উত্থাপন করবে। কোন অংশ বাতিল বা কোনটা রাখা হবে, সেটা কিন্তু নীতিগত অনুমোদনের সময় সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় না। মিডিয়াতে দুটি বিষয়ে ভিন্ন রকম প্রতিবেদন এসেছে।
’একটি জেলায় একজন রিটার্নিং অফিসার থাকে, এখন আসন শব্দটা যোগ করা হয়েছে। কিন্তু মিডিয়াতে প্রতি আসনে একজন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই আইনের ধারাটা না পড়েই ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে।’
অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ’এটা আগে থেকে বলা আছে। এখন বলা হয়েছে, কোনো একটি ফলাফল তৈরির সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বিবরণীটা কমিশনে পাঠাবে, যদি গুরুতর কোনো অনিয়ম হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন যথাযথ তদন্ত করবে। তখন যদি গুরুতর কোনো অনিয়ম হয়, নির্বাচন কমিশন তা যথাযথ তদন্ত করবে। তদন্তে যদি মনে হয় গুরুতর অপরাধে ফলাফল সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি, তখন তারা বাতিল করতে পারবেন। এখানে গেজেট-প্রজ্ঞাপনের পরে বাতিল কথাটা কিন্তু হবে না।’