সমৃদ্ধ দেশ গঠনে লিঙ্গসমতা নিশ্চিতের তাগিদ

সমৃদ্ধ দেশ গঠনে লিঙ্গসমতা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার রূপকল্প প্রণয়ন করেছে সরকার। তবে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতাবিধান প্রয়োজন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রাকবাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার সুফিয়া কামাল ভবনে ‘তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীর অভিগম্যতা ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি’ শীর্ষক এ প্রাকবাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে ড. শামসুল আলম বলেন, সরকার ৪৪টি মন্ত্রণালয় নিয়ে জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করে। তবে নানাবিধ সামাজিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে প্রদত্ত বাজেট পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা যায় না।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরমিন্দ নিলোর্মী। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য রুমানা আলী, বেসিসের সাবেক সহসভাপতি এবং ইউওয়াই সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আনোয়ারা রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী বলেন, বর্তমানে কর্মসংস্থানে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৬ শতাংশ। নারীদের দক্ষতা কাজে লাগানো এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর জোর দেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য জেন্ডার বাজেটের উপকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সম্পদে নারীর সমঅধিকার দিতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।