প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৭:৩৫ পিএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:১১ পিএম
শনিবার সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত কর্মশালায় আলোচকরা। প্রবা ফটো
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারায় বাংলাদেশ রপ্তানিতে পিছিয়ে
রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য রপ্তানিতে যথেষ্ঠ সম্ভাবনা আছে। বাইরের দেশে
বাংলাদেশের খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত না করতে পারায়
আমরা রপ্তানি খাতে পিছিয়ে আছি।’
শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা মান ও প্রবিধানের সমন্বয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ কারণে নিরাপদ খাদ্য আইন করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ
করছে। আমরা রপ্তানির বহুমুখীকরণ করতে চাই। খাদ্য রপ্তানিতে যথেষ্ঠ সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশের
খাদ্যের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। কিন্তু নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত না করতে পারায় আমরা এ খাতে
পিছিয়ে আছি। খাদ্যের মানোন্নয়ন ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হলে তা এই খাতকে সমৃদ্ধ করবে।’
তিনি বলেন, গুণগত মানসম্পন্ন ও বিশুদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে
পারলে আন্তর্জাতিক খাদ্যের বাজারে প্রবেশ করা যাবে। আমরা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে
সম্বন্বিত পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, যখন নিয়ম নীতি কার্যকর হবে তখন দেশের মানুষের
ফুড চেইনেও নিরাপদ খাদ্য ঢুকে যাবে। আমি বিশ্বাস করি খাদ্যকে নিরাপদ করা কারও একার
দায়িত্ব না।’
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের
সচিব ইসমাইল হোসেন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
ইসমাইল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে
প্রধানমন্ত্রী খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃতে আমরা বাংলাদেশের মানুষের
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করছি। তবে একটি সংগঠনের পক্ষে ১৭ কোটি মানুষের জন্য নিরাপদ
খাদ্য নিশ্চিত করা খুবই কঠিন কাজ। তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।‘
ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি
রবার্ট ডি সিম্পসন বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য আরও আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে।
এফএওয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ এখন কোডেক্সের মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্য করার পথে
রয়েছে। এটি করার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজেকে মানসম্পন্ন, নিরাপদ খাদ্যের একটি বিশ্বস্ত
সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ভিত্তি স্থাপন করছে।’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার। এ ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাউরিজিও চিয়ান, এফএও আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় দেভ, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সহযোগিতা প্রধান মাউরিজিও সিয়ানসহ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।