পাওনা টাকা চেয়ে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

ট্রাস্ট আইনের ৫৫ ধারা ও শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ী ৫ শতাংশ লভ্যাংশ এবং চাকরি অবস্থায় পাওনা ছুটির টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বুধবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের সাবেক সহযোগী আঞ্চলিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন।

তিনি জানান, ২০১৩ সালের শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিককে দিতে হবে। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কর্তৃপক্ষ কখনোই সেই টাকা দেয়নি। উল্টো বিভিন্ন সময় অনেককে চাকরিচ্যুত করেছে। চাকরি করার সময় অনেক ছুটি পাওনা ছিল। সেই অর্জিত ছুটিগুলোর অর্থও পরিশোধ করেনি। টাকা পাওয়ার জন্য প্রথমে মৌখিকভাবে জানানো হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি। চিঠির উত্তর না পেয়ে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারও কোনো উত্তর দেয়নি। একাধিকবার বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টার পরও কর্তৃপক্ষের জবাব না পেয়ে মানববন্ধন ডাকা হয়েছে।

রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের চাকরি কখনও স্থায়ী করা হয়নি। চাকরিরত অবস্থায় আমাদের বিভিন্ন সময় মানসিক হয়রানি করা হয়েছে। যাতে চাকরি ছেড়ে চলে যাই। ফলে কর্তৃপক্ষ নিজেদের কাছের লোকজনকে ওই পদে নিয়োগ দিতে পারবে। আমাদের স্থায়ী না করে সব সময় ভারপ্রাপ্ত করে রাখত। যাতে সহজে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া যায়। এটা নিয়ে যখন আমরা কথা বলা শুরু করলাম, তখন মানসিক চাপ দেওয়া শুরু করল। এরপর চাকরিচ্যুত করা হলো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কর্তৃপক্ষকে ঈদ পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। যদি ঈদের মধ্যে তারা আমাদের পাওনা পরিশোধ না করে, তাহলে ঈদের পর আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাব।’