প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৫ এএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী ডিজেল পাইপলাইন উদ্বোধন হচ্ছে আজ শনিবার (১৮ মার্চ)। ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা ও দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন দুই নেতা।
এ উদ্যোগ ভবিষ্যতে আন্তঃদেশীয় জ্বালানি সহায়তা বৃদ্ধিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের নুমালিগড় তেল পরিশোধনাগার থেকে বছরে ১০ লাখ টন ডিজেল সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে বিপিসি। রেলওয়ে ওয়াগনে তেল পরিবহন শুরু হলেও শনিবার থেকে এটি পাইপলাইনে আসবে। ইতোমধ্যেই পানি প্রবাহিত করে লাইনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
বিপিসির তরফে বলা হয়েছে, এ প্রকল্পের ফলে উত্তরের ১৬ জেলায় ডিজেল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। বিশেষ করে দেশের কৃষি বা ধান উৎপাদনের বড় হাব এই জেলাগুলো, যেখানে বোরো মৌসুমে ডিজেল পৌঁছানো অনেকক্ষেত্রে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য পদ্মা ও যমুনা খনন করে তেলবাহী জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হয়। এখন পাইপলাইনে তেল আসায় সে সংকট দূর হবে। লাইনটির সঙ্গে সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন পথ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। এটিকে অনুসরণ করে কাঠমান্ডু সম্প্রতি দিল্লির সঙ্গে গ্রিডলাইন নির্মাণ করেছে।
পাইপলাইন নির্মাণে বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা দিয়েছে ভারত। শুরুতে দিল্লি এ অর্থ ঋণ হিসেবে দিতে চাইলেও তাতে রাজি হয়নি বিপিসি। ফলে অনুদান হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে।
১৩১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ পাইপলাইনের ১২৬ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশে। ভারতীয় অংশে পড়েছে পাঁচ কিলোমিটার। ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের শিলিগুড়ির মার্কেটিং টার্মিনালের সঙ্গে পাইপলাইনটিকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে পার্বতীপুর ডিপোর তেল মজুদের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।