প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩ ০০:৩৬ এএম
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩ ১১:০৪ এএম
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সংগৃহীত ফটো
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের সঙ্গে তার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সততার সঙ্গে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন এবং সাংবাদিকদের অনেক সহযোগিতা পেয়েছেন। রবিবার (১২ মার্চ ) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বক্তৃতার সময় তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে তার অবসরের কথাও বলেন। তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আর ৪২ দিন পর আমি জনতার মাঝে ফিরে যাব। আমার ভালো লাগছে যে আমি সম্মানজনকভাবে বিদায় নিতে পেরেছি। সবার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘সারা জীবন সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছি, ৬৪ বছরের জীবনে সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমার জন্য নেগেটিভ কিছু পাইনি, সংবাদকর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘হাওর এলাকার কিছুটা পরিবর্তন আনতে পেরেছি। কোনো সরকারের আমলেই ব্যক্তির জন্য কিছু চাইনি। প্রতিটি রাজনীতিবিদ যদি এ রকম মনমানসিকতা পোষণ করেন, তাহলে অবশ্যই এলাকার উন্নয়ন হবে।‘
সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বরাবরই সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার একটা সুসম্পর্ক ছিল। বিশেষ করে আমি যখন ডেপুটি স্পিকার ছিলাম এবং শেষে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গে আমার খুবই আন্তরিক সম্পর্ক ছিল।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এটাই শেষ নৈশভোজ। ২৪ এপ্রিল বেলা ১১টায় নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি দরবার হলের অনুষ্ঠানস্থলে আসেন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। আসার পর পুরো দরবার হল যেন প্রাণোচ্ছল হয়ে ওঠে। রাষ্ট্রপতি ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি তার চিরাচরিত স্বভাবকথার জাদুতে দরবার হল প্রাণবন্ত করে তোলেন। ছবিও তোলেন। প্রটোকল ডিঙিয়েই রাষ্ট্রপতি জুনিয়র-সিনিয়র সব সাংবাদিকের কাছে গিয়ে হাত মেলান। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে চাইলে সবাইকেই হাসিমুখে সুযোগ দেন আবদুল হামিদ। বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের হাওর এলাকায় এবং ঢাকার নিকুঞ্জে তার বাসভবনে নিমন্ত্রণও জানান।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক আবেদ খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এবং টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুর রহমান খান, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, এটিএন বাংলার নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ সৈকত, পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাফিজা দৌলা এবং চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক নীলাদ্রি শেখর বক্তব্য দেন।
নৈশভোজে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বাংলা জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।