প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩ ২৩:২৪ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৩ ০১:১০ এএম
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ছবি : সংগৃহীত
আমাদের পাটের বাজার অনেক বড়, পরিবেশ আন্দোলন এখাতে সহায়ক হিসাবে কাজ করছে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ আন্দোলন যেভাবে সহায়তা দিচ্ছে, সেখানে পাটকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাট ও পাটজাতপণ্য রপ্তানিকারকদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে হবে এবং পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত পাটখাতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পাট আমাদের ঐতিহ্য ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ আসতো পাট থেকে। আমি বিশ্বাস করি, এখনও পাটের সেই অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এমপি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় দেশের পাটখাতে উন্নয়নের ধারাকে বেগবান করা সম্ভব হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাট জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা পালন করবে।
পাটমন্ত্রী আরও বলেন, জুট ভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)’র বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, সম্প্রসারণে কাজ করেছে। জেডিপিসি পাটপণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। ইতোমধ্যে অনেকেই দৃষ্টিনন্দন, আধুনিক ও স্মার্ট বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করছেন যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পাটকে কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমি দাবি করতে চাই, পাটকে বহুমুখী কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হোক।’
‘পাট শিল্পের অবদান-স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় পাট দিবসে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও পাটপণ্যের প্রর্দশনীর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গবেষণা কার্যক্রম, পাটবীজ আমদানিতে নির্ভরশীলতা হ্রাস, পাটবীজ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন, প্রচলিত ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ অবদান রাখায় ১১ ক্যাটগরিতে ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, চাষি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাট-সংশ্লিষ্ট অংশীজন ৯ সংগঠনকেও সম্মাননা দেয়া হয়েছে।