প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ২৩:২৪ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ২৩:৪২ পিএম
দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। সাম্প্রতিক ছবি
পঞ্চগড়ের আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ দুই দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রবিবার (৫ মার্চ) কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তির এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, ধর্মবিশ্বাসকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার। সকল ধর্মের অনুসারীগণ নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিপালন করবেন- কমিশন এটাই প্রত্যাশা করে।
দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে কমিশনের ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের সকলকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করা না হলে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে কমিশন মনে করে।
এই ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন গাফিলতি ছিল কি না এবং বিক্ষোভ হামলা নিবৃত করতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে কি না, প্রকৃত ঘটনা কী- ইত্যাদি বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর ১৭ ধারায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার কথাও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
পঞ্চগড়ের পুলিশ প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে অপ্রত্যাশিত এমন যেকোন ধরনের সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আরও সতর্ক থাকার ও মানুষের জান-মালের সুরক্ষা প্রদানের জন্য কার্যকর ভূমিকা পালনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ের আহম্মদনগরে আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের ৩ দিনের সালানা জলসার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন ও সমমনা ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা জুমার নামাজের পর শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে ২ জন নিহত এবং ৭ পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৫০ জন আহত হন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ১৫০ বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাট চালানো হয়।