চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:৫৮ পিএম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৩০ পিএম
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় রাষ্ট্রীয় তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পৌঁছেছে রাশিয়া থেকে আনা ৫০ লিটার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল। এ তেল দেশে পরিশোধনযোগ্য কি না এবং তা ব্যবহারের উপযোগিতা যাচাইয়ে সময় লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য জানান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) রায়হান আহমেদ। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে রাশিয়ার অপরিশোধিত এই জ্বালানি তেল ইস্টার্ন রিফাইনারির ল্যাবে পৌঁছে।
ল্যাবে এই তেল পরিশোধনযোগ্য কি না এবং তেলের নমুনার মান যাচাই পরীক্ষায় এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সে হিসাবে এই তেলের পরীক্ষার ফল আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ পাওয়া যেতে পারে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
বিপিসির পরিচালক (বিপণন) অনুপম বড়ুয়া বলেন, ‘রাশিয়ার এই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের নমুনা ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিপিসির কাছে পৌঁছায়। এরপর বিপিসি এই তেল ইস্টার্ন রিফাইনারির ল্যাবে পাঠায়। ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান এই তেল রিসিভ করেন।’
অনুপম বড়ুয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, যে দেশ থেকে তেল কম দামে পাওয়া যাবে সেখান থেকে যাতে আমদানির চেষ্টা করা হয়। রাশিয়া কম দামে আমাদের জ্বালানি তেল দিতে ইচ্ছুক। এ কারণে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জারুবেনেফ জেএসসি থেকে ৫০ লিটার অপরিশোধিত তেল গত বৃহস্পতিবার বিমানে করে ঢাকায় পৌঁছায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই তেলের ব্যবহারের উপযোগিতা ও প্রাসঙ্গিক খরচ সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাবে। পরীক্ষায় যদি সন্তোষজনক রিপোর্ট আসে, তাহলে আমদানির বিষয়ে পরবর্তী ধাপে যাওয়া যাবে।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দাম বৃদ্ধির ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার চীন, ভারতসহ কয়েকটি দেশ তেল কিনছে রাশিয়া থেকে। গত মে মাসে বাংলাদেশকেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব দেয় দেশটি। তবে রাশিয়ার তেল দেশে ব্যবহার-উপযোগী নয় বলে প্রথম দফায় তা নাকচ করে দেয় সরকার।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ান তেলে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকায় তা পরিশোধন করতে হয়। এতে খরচ বেশি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নমুনা হিসেবে নিয়ে আসা ৫০ লিটার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খরচের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
প্রবা/আরকে/এমজে