× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

২০৭১ সালের মধ্যে দেশকে ভূমিকম্প সহনশীল করা সম্ভব হবে : দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩ ২৩:৩১ পিএম

আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩ ২৩:৩২ পিএম

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণসহ অন্যদের সঙ্গে বিতর্কে জয়ী সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা। সংগৃহীত ছবি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণসহ অন্যদের সঙ্গে বিতর্কে জয়ী সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা। সংগৃহীত ছবি

২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনশীল করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদনে দীর্ঘসূত্রিতা ও দুর্নীতি নিরসনে এখন থেকে অনলাইনে আবেদন এবং অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের সবগুলো ভবন ভূমিকম্প সহনশীল নয়। কেবল ভবন মালিকের ক্যাপাসিটির সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাই ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রথম এগিয়ে আসতে হবে সরকারকেই। ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে যথাযথ কর্তৃপক্ষকেই প্রধান দায়িত্ব পালন করতে হবে। ২০১০ সালের প্রস্তাবিত বিল্ডিং কোড ১৩ বছর পর পাশ হয়েছে ২০২২ সালে। ইতিমধ্যে প্রযুক্তিগত আরও বেশ উৎকর্ষ ঘটেছে। কাজেই বর্তমান বিল্ডিং কোডও সময়পোযোগী নয়, এটিও আধুনিক করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

‘ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকার অপেক্ষা ভবন মালিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক বিতর্কে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজকে পরাজিত করে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মহম্মদ রইস, ড. দিলারা জাহিদ, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা ও সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমান রাহী।

ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ভবন নির্মাণের মধ্যেই ভূমিকম্প ঝুঁকি সীমাবদ্ধ নয়। সরকার যে রাস্তাঘাট, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, এলিভেটর এক্সপ্রেস নির্মাণসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন তৈরি করছে তাও ভূমিকম্প সহনশীল হতে হবে। ঢাকা শহরের ৭২ হাজার ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং বড় কোনো ভূমিকম্পে রাজধানীতে ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। 

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আমাদের ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্ক আছে, সচেতনতা নেই। নেই কোনো সরকারি সঠিক উদ্যোগ। ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে এমন শীর্ষ ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। জনসংখ্যার ঘনত্ব, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ, অপ্রশস্ত সড়ক, সচেতনতার অভাব, পূর্ব প্রস্তুতির ঘাটতি ঢাকা শহরকে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে পতিত করেছে। কোনো রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই রানা প্লাজা ধ্বসে এক হাজার ১৩৪ জন মানুষ প্রাণ হারায়। তখন মাত্র একটি বিল্ডিংয়ের ধ্বংসস্তুপ সরাতে যেখানে ১ মাসেরও বেশি সময় লাগে। সেখানে আমাদের দেশে বড় একটি ভূমিকম্পে ক্ষয়-ক্ষতি হলে ধ্বংসস্তুপ সরাতে কতদিন লাগবে সেটা আল্লাহ মা’বুদ ছাড়া কেউ জানেন না। ঢাকা শহরে অপরিকল্পিতভাবে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন নেওয়া হয়েছে। ভূমিকম্প হলে তা অগ্নি কূপে পরিণত হতে পারে।

তিনি বলেন, নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় ভরাট করে যেভাবে ঢাকা শহরের আশেপাশে হাউজিং গড়ে উঠেছে তাতে ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে মাটি গলে পানিতে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অতিমাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাবে রাজধানীর বৃহৎ একটা অংশ ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরের মতো। মল-মাটিতে ডুবে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও উল্ল্যেখ করেন তিনি।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবেলায় ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।

সুপারিশ গুলো হল-

১. ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি ভবন, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে এগুলোকে ভূমিকম্প সহনীয় করা।

২. বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা।

৩. ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প সহশীলতা নির্দেশিকা মানতে বাধ্য করা।

৪. ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সব উপকরণ পরীক্ষার জন্য রিসার্স, ট্রেনিং ও টেস্টিং ল্যাবরটরি স্থাপন নিশ্চিত করা।

৫. প্রতি তিন মাস পরপর ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাসমূহের সমন্বয় ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা এবং মহড়া নিশ্চিত করা।

৬. ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত তথ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা।

৭. ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাস ও উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করণে সিটি করপোরেশন/পৌরসভার সক্ষমতা বাড়ানো।

৮. ভবন নির্মাণে নকশার ব্যত্যয়রোধে ভবনের অনুমোদিত নকশা অনলাইনে দেওয়া।

৯. প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক উপজেলায় প্রয়োজনীয় জনবলসহ ১টি করে ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা।

১০. বড় ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন ও ব্যয় নির্বাহের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা