প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩ ০০:২৩ এএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩ ০০:৩১ এএম
পাঠ্যবই হাতে শিক্ষার্থীরা। সংগৃহীত ফটো
সরকারি পাঠ্যবই ছাপানো নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। স্বাধীনতার পর থেকে পাঠ্যবই প্রণয়ন, ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্ব এনসিটিবি পালন করলেও এবার প্রাথমিকের বই ছাপানোর দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে দিতে চায় মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, ডিপিই নিজেরা বই ছাপালে ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা খরচ কমে বাসবে এবং সময়মতো বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে। তবে মন্ত্রণালয়ে এ উদ্যোগের বিরোধিতা করছে এনসিটিবি।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের ফল ভালো হবে না। আর আইন পরিবর্তন না করে তারা যদি বই ছাপার দায়িত্ব নিতে চায়, তাহলে আমরাও ছাড় দেব না।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ নিজেরেই বই ছাপানোর দায়িত্ব নিতে চান।
সচিব বলেন, ‘এ বছরের বই যেভাবে আছে সেভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ীই চলবে। এনসিটিবি আসলে ওভারবার্ডেনড (কাজের চাপে ভারাক্রান্ত)। তাদের কার্যপরিধি অনুযায়ী জনবল সংকটের কারণে তারা ওভারবার্ডেনড। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা করে বই ছাপার দায়িত্ব অধিদপ্তরকে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতামতের অপেক্ষায় রয়েছে। মতামত পেলেই ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে বই ছাপার কাজ শুরু করবে ডিপিই।’
নিজেরা বই ছাপলে ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। কাজটা করার সক্ষমতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রয়েছে। আমাদের বরাদ্দও আছে। কাজটা যদি আমরা করতে পারি সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। আমরা আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করতে পারব।’
অন্যদিকে, সার্ভিস চার্জের বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারমন্যান বলেন, ‘উনি (সচিব ফরিদ আহাম্মদ) জানেন না বলেই এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। আমরা আইন অনুযায়ী কাজের বিনিময়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে চলি। ২ টাকা ৮ পয়সা যে সার্ভিস চার্জ আমরা পাই সেগুলো দিয়েই এনসিটিবি চলে। এনসিটিবি তো কাজ করেই সার্ভিস চার্জ নেয়।’