প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪৭ পিএম
রবিবার থেকে শুরু হয়েছে 'স্কুল মিল্ক' কর্মসুচি। উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রবা ফটো
মেধাহীন জাতি নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেছেন, একটি জাতি মেধাবী না হলে, সে দেশ কোনোদিন এগিয়ে যেতে পারে না। এটি সবচেয়ে ভালো বোঝেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার মেধাবী জাতি গঠন করতে কাজ করছে। এজন্য শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে এ খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা হচ্ছে। গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্কুল মিল্ক’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগের দিক তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি দেশের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কারিগরি শিক্ষার প্রসার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ ও গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোসহ নানান উদ্যোগ নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে পড়ালেখা করতে দৃষ্টিনন্দন স্কুল নির্মাণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বেশি প্রয়োজন ভালো খাবার। সেজন্য স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করেছে বর্তমান সরকার। এ আলোকেই স্কুল মিল্ক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাণিজ পুষ্টির যোগান পাবে। সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে উঠবে।
দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমতা নিশ্চিত করতে চান উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনা বিপন্ন মানুষের বেদনা বোঝেন। তিনি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দূর করতে কাজ করছেন। সেজন্য শহরের মতো গ্রামেও সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। গোটা জাতিকে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে সরকার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে দুধের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। এটি অনুধাবন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় শিশুদের জন্য স্কুল মিল্ক কর্মসূচি নিয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের সুস্থ, সবল ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার নতুন অধ্যায় সংযোজন হবে। যা শিশুদের বিদ্যালয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে। বিশেষ করে দরিদ্র অঞ্চলে স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে এ কর্মসূচি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। স্কুল মিল্ক কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. গোলাম রব্বানী।
উল্লেখ্য, দেশের ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বছরব্যাপী বিনামূল্যে দুধ পান করানোর কর্মসূচি নিয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। রবিবার থেকে প্রাথমিকভাবে ৫০টি স্কুলে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই বাকি স্কুলে ক্রমান্বয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১ জেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্বাচিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে টিফিনের সময় দুধ প্রদান করা হবে।