প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:০২ পিএম
রবিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তার সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সাক্ষাত। প্রবা ফটো
ভিশন ২০৪১ অর্জনে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে জানিয়েছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তার সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে এ তিনি কথা বলেন। সাক্ষাতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্ব, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, ব্যবসার প্রসার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার কাজ করছে। চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ ও পদ্মাসেতু নির্মাণে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সহায়তা ও কোভিডকালীন সময় চীন বাংলাদেশের পাশে ছিল।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান স্পিকার।
বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফোরামে চীন বাংলাদেশকে সমর্থন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজমান। ভিশন ২০৪১ অর্জনে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে সফর বিনিময় ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে দুদেশের সংসদ সদস্যরা গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যের প্রসারে চীনের ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা করেন। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় বাংলাদেশস্থ চীন দূতাবাস ও সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।