প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৫ পিএম
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ফাইল ফটো
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা মাত্র ৯ মাসের সংগ্রামে দেশকে স্বাধীন করেছে। এর মূল কারণ ছিল দেশের প্রতি ও নিজের প্রতি আস্থা। তেমন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতেও প্রয়োজন আস্থা। আমরা অতিদ্রুত, সম্ভব হলে দুই বছরের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারব।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটরিয়ামে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিটি জেলায় কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে। ভবিষ্যতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এর কার্যক্রম নিয়ে যাওয়া হবে।
খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ব্যক্তিদের জ্ঞানপাপি উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, যারা উৎপাদনে, বিক্রিতে ও পরিহবনে ভোক্তাদের ঠকানোর চেষ্টা করেন, তারা জ্ঞানপাপি। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দরকার।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা খাদ্য নিরাপদতাহীনতাজনিত কারণে বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে পারছি না। উৎপাদন, যোগাযোগ, বাজার ও রন্ধনপ্রণালীসহ সর্বস্তরে খাদ্য নিরাপদ রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্লোবাল কোডেক্সের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় দাভে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানির প্রচুর সুযোগ থাকলেও আন্তর্জাতিক নীতি ও কোডেক্স না মানার কারণে বৈদেশিক বাজার হারাচ্ছে। এ জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ভারত এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। ২০০৭ সালে ভারত মোট ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের খাদ্যপণ্য রপ্তানি করে। ২০১৬ সালে রপ্তানি আয় বেড়ে হয় ৪৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে করোনা মহামারীর কারণে রপ্তানি কিছুটা কমে (৩৫ বিলিয়ন)। আন্তর্জাতিক বাজারে ২০০৭ সালে ভারতের অংশ ছিল ১ শতাংশ, ২০১৬ সালে ১ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২০২১ সালে ২ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০৭ সালে জিডিপিতে কৃষিবাণিজ্যের অংশ ছিল ১৪ শতাংশ, ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার সভার সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অনলাইন সেবার জন্য একটি বিশেষ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।