প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:১৮ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৩ পিএম
বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে ‘কোরিয়া সপ্তাহ’ আয়োজন সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোরিয়ার অবস্থান পঞ্চম। দেশটি ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এমন বাস্তবতায় ঢাকা-সিউল সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে ‘কোরিয়া সপ্তাহ’ আয়োজন সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
রাজধানীর দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন, কোরিয়ান কমিউনিটি কমিটির চেয়ারম্যান ইয়ং ওহ ইউ ও কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-কেবিসিসিআই এর উপদেষ্টা শাহাব উদ্দীন খান বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘কোরিয়া সপ্তাহ’ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে মেলা। তা ছাড়া, ১ থেকে ৩ মার্চ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে ‘কোরিয়া কাপ গলফ টুর্নামেন্ট’ অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রদূত জানান, দক্ষিণ কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (এমকেআইটিএ) তথ্য মতে, ২০২২ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে এটি ছিল ২ দশমিক ১৮৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরে বাণিজ্য বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।
কোরিয়ান কমিউনিটি কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার লোকজনের আগমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন ঢাকা-সিউল সরাসরি ফ্লাইট চালু করা প্রয়োজন। এতে অন্যান্য অনেকেই দেশটিতে আসবে। কেননা কম্বোডিয়া, লাউসের সঙ্গে কোরিয়ার সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়াতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গতিশীল হয়েছে। আমরা যারা ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করছি তাদেরকেই ঢাকা ভিসা দিতে চায় না। আর নতুন যারা আসছে তারা তো আরো বেশি সমস্যায় পড়ছে। এ জন্য দুদেশের মধ্যে ফ্লাইট চালুর বিকল্প নেই।’
ইয়ং ওহ ইউ জানান, ১৯৭২ সালের মে মাসে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। ১৯৭৩ দক্ষিণ কোরিয়া স্যামসং এবং হুন্দাইয়ের মতো বড় কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে নির্মাণ, প্রকৌশল, ইলেক্ট্রেনিক্স এবং অটোতে যুক্ত করার কথা বিবেচনা করছে। কেননা বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত ও বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। স্যামসং নরসিংদী জেলায় একটি উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছে। সেখানে মোবাইল, ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও ওয়াশিং মেশিন তৈরি হচ্ছে।
লি জাং-কুন জানান, কোরিয়া দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উভয় দেশের ব্যবসায়িক সমাজ আরো সহযোগিতা পেতে ‘কোরিয়া সপ্তাহ ২০২৩’ বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ১৯৭৩ সালে কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্থাপনের পর দুই দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি, পোশাক, ইলেক্ট্রনিক, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং মানবসম্পদ বিনিময়ের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে।