প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:২৭ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৬ পিএম
পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন অতিথিরা। প্রবা ফটো
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, যৌতুক, বাল্যবিয়ে রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এ সংক্রান্ত কমিটিকে মনিটরিং ও আইনের সঠিক বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দশ নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা সিলেট বিভাগের জয়িতাদের নিয়ে ‘জয়িতা তোমরাই বাংলাদেশের বাতিঘর’ স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে চট্রগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে চট্রগ্রাম বিভাগের কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন।
চট্রগ্রাম বিভাগের সম্মাননা প্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরীতে চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার নাছরিন সোলতানা জেরিন, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী রাঙামাটি জেলার সপ্তর্ষি চাকমা, সফল জননী ক্যাটাগরীতে খাগড়াছড়ি জেলার ইন্দিরা দেবী চাকমা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা ফেনী জেলার লায়লা আক্তার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় কক্সবাজার জেলার মনোয়ারা পারভীন।
সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্ব উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ।
সিলেট বিভাগের সম্মাননা প্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে সুনামগঞ্জ জেলার সৈয়দা ফারহানা ইমা, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার মার্গ্রেট সুমের, সফল জননী ক্যাটাগরিতে সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার সালেহা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করে মৌলভীবাজার জেলার শাহেনা আক্তার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সিলেট জেলার খুশি চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, সরকারের নারীবান্ধব উন্নয়ন ও নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে গত একযুগে সরকারি, বেসরকারি, আত্মকর্মসংস্থানসহ উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সম্ভব হয়েছে সরকারের নারী উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার জন্য।
সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে ৫০:৫০ এ উন্নীত করতে মাঠ প্রশাসনকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। সরকারের বহুমুখী কার্যক্রমের ফলে নির্যাতন, যৌতুক ও বাল্যবিয়ের হার কমে এসেছে।
অনুষ্ঠান শেষে চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতারা নিজ নিজ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ গ্রহণ করেন।