× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জলে যাচ্ছে ১৩০০ কোটি টাকা

মামুন-অর-রশিদ

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৪ পিএম

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৮ পিএম

জলে যাচ্ছে ১৩০০ কোটি টাকা

নিজেদের জলযানে জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে দুটি শ্যালো ড্রাফট অয়েল ট্যাংকার নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। যাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৩ কোটি টাকা। চলতি বছর সংস্থাটির বহরে অয়েল ট্যাংকার দুটি যুক্তও হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল পাটুরিয়া-আরিচা এবং মাওয়া ঘাটে ফেরি চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে জ্বালানি তেল সরবরাহ সহজ এবং লাভজনক করা। অথচ পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সীমিত হয়ে পড়েছে ফেরি যোগাযোগ। 

বিআইডব্লিউটিসি এ প্রকল্প হাতে নেয় ২০১৮ সালে। পদ্মা সেতু নির্মাণ তখন শেষের পথে। এক বছর পর এ প্রকল্পের আওতায় জলযানগুলোর নির্মাণ শুরু হয়। সাদা চোখেই বোঝা যাচ্ছিল, সেতু চালু হলে এই অয়েল ট্যাংকার দুটি প্রয়োজনীয়তা হারাবে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিসি কেন বুঝতে পারেনি, তা এক বিরাট রহস্য।

প্রতিদিনের বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় বিআইডব্লিউটিসি ১২টি ফেরিও নির্মাণ করছে। আগামী বছর এসব ফেরি তাদের বহরে যুক্ত হবে। অথচ পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মাওয়া ঘাটের ফেরিগুলোই বসে রয়েছে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিমাসে বিআইডব্লিউটিসি লোকসান গুনছে ছয় থেকে আট কোটি টাকা। প্রশ্ন উঠেছে, নতুন ফেরি নির্মাণ করে বিআইডব্লিউটিসি তাহলে কোনখানে ভাসাবে। কতই বা আয় করবে। 

অনুসন্ধান বলছে, কেবল এই অয়েল ট্যাংকার আর ফেরিই নয়, বিআইডব্লিউটিসি আগেও এমন অনেক জলযান নির্মাণ করেছে কিংবা উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যেগুলো কয়েক বছরের মধ্যেই প্রয়োজনীয়তা হারিয়েছে ও ব্যর্থ হয়েছে। সংস্থাটির রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের উদাহরণ নতুন নয়। এ কারণে ১ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার নৌযান নির্মাণের নতুন এ প্রকল্পের উপযোগিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

নৌযান বসে থাকার পরও কেন আরও নৌযান নির্মাণ করা হলো, তা জানতে চাইলে বিআইডিব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্যিক) এসএম আশিকুজ্জামান জানান, ১৩শ কোটি টাকার প্রকল্পটি আগেই হাতে নেওয়া হয়েছিল। এখন নৌযানগুলো আমাদের বহরে যুক্ত হচ্ছে। তিনি জানান, মাওয়া ঘাটের ফেরিগুলো এখন বসেই আছে। লোকসান এড়াতে বরিশালগামী যাত্রীবাহী নৌযান দুটি বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, লঞ্চ দুটিতে ৫০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

ওয়াটার বাস প্রকল্প 

বিআইডব্লিউটিসির এমনই এক ব্যর্থ উন্নয়ন উদ্যোগ ওয়াটার বাস প্রকল্প। ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রকল্পটির উদ্বোধন হয়। ঢাকার আশপাশ থেকে রাজধানীতে যাতায়াত সহজ ও অবাধ করতে ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ অবধি এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলে। প্রথমে ২০১০ সালে এক কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ওয়াটার বাস নির্মাণ করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনের কয়েক দিন পরই এগুলোর পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বলা হয়, এত কম সংখ্যক ওয়াটার বাস চালিয়ে যাত্রীদের মধ্যে কোনো আগ্রহ তৈরি করা যাচ্ছে না।

এরপর ২০১৩ সালে এসে তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ৪টি ওয়াটার বাস বানানো হয়। তারপর আবারও বলা হয়, মাত্র ৬টিতে কিছু হবে না, আরও ওয়াটার বাস প্রয়োজন। ২০১৪ সালে ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় আরও ৬টি ওয়াটার বাস। সব মিলিয়ে ১২টি ওয়াটার বাস নির্মাণে ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ের পর নীতিনির্ধারকরা বুঝতে পারেন, যাত্রীদের মধ্যে ওয়াটার বাসে যাতায়াতে আগ্রহ নেই। অতএব এগুলোর চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি।

পড়ে আছে যাত্রীবাহী নৌযান

সম্প্রতি রাজধানীর সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পড়ে আছে এমভি বাঙালি এবং এমভি মধুমতি নামের দুটি যাত্রীবাহী নৌযান। ঢাকা থেকে বরিশাল রুটে যাত্রী পরিবহনের জন্য এগুলো নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে এমভি বাঙালি ২০১৪ সালে এবং এমভি মধুমতি ২০১৫ সালে বিআইডব্লিউটিসির বহরে যুক্ত হয়। দুটো নৌযান নির্মাণে খরচ হয় ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। তা ছাড়া ২০২২ সালের শুরুর দিকে যাত্রীবাহী নৌযান পরিচালনায় বিআইডব্লিউটিএর লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এই ১০৩ কোটি টাকা খরচ করার পর বিআইডব্লিউটিসি বুঝতে পারে, লঞ্চ দুটোর কোনো কার্যকারিতা নেই। ফলে সদরঘাটেই পড়ে আছে মধুমতি ও বাঙালি। লোকসান এড়াতে বরিশালগামী যাত্রীবাহী নৌযান দুটি বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্যিক) এসএম আশিকুজ্জামান বলেন, লঞ্চ দুটিতে ৫০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

যৌক্তিকতা নয়, দেখানো হয় লাভ

বিআইডব্লিউটিসির এক কর্মকর্তাকে প্রতিদিনের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে কোনো সম্ভাব্যতা জরিপ করা হয় কি না। তিনি জানান, অবশ্যই করা হয়। তবে সেক্ষেত্রে প্রকল্পটি কার্যকর করা কতটা যৌক্তিক, সেই বিবেচনার চেয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পাস করিয়ে আনার সম্ভাব্যতার ওপরই বেশি জোর দেওয়া হয়; লাভের অঙ্ক দাঁড় করানো হয়, যা দেখে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগ এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি দ্রুত প্রকল্প পাস করিয়ে দিতে পারে। প্রকল্পের পেছনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এমনই একটি প্রকল্প হচ্ছে বিআইডব্লিউটিসির এই ‘৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ ও দুটি স্লিপ ওয়ে নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত প্রকল্প)’। প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় জুলাই ২০২৮ থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রকল্পটি শেষ হতে আর মাত্র ছয় মাস বাকি রয়েছে। 

বিআইডব্লিউটিসির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ প্রকল্পের পেছনে রয়েছে দেশীয় কয়েকটি নৌযান নির্মাণ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তারাই বিআইডব্লিউটিসির মাধ্যমে প্রকল্পটি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি অনুমোদন করে পাঠায় পরিকল্পনা বিভাগে। সেখান থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পাশ হয় প্রকল্পটি। এই পুরো প্রক্রিয়ার পেছনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ জড়িত। তাই প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা যা করা দরকার, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাই করে থাকে। কিন্তু সরকারি চ্যানেলে কাজ হয় বলে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা আড়ালেই থেকে যায়।

নতুন ফেরিঘাট চালুর চিন্তা

বিআইডব্লিউটিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের পর মাওয়া ঘাটে অলস বসে আছে ১৫টি ফেরি। তিনি নিজেই প্রশ্ন করেন, এ প্রকল্পের আওতায় আরও ১২টি ফেরি এনে বিআইডব্লিউটিসি ভাসাবে কোথায়? পদ্মা সেতু নির্মাণের পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটের ফেরিগুলোও ঠিকমতো কাজে লাগে না। এই ঘাটেও রয়েছে ১৪টি ফেরি। সেগুলোকে এখন শিডিউল করে চালানো হয়। মাত্র সাতটি ফেরি হলেই চলে বলে ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা নতুন এ উদ্যোগ নিয়েছেন। 

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানাচ্ছে, ফেরিগুলোকে কার্যকর করতে এখন ১৯টি নতুন ফেরিঘাট চালু করতে চাইছে বিআইডব্লিউটিসি এবং বিআইডব্লিউটিএ। এ নিয়ে কাজ করছে টিসি ও টিএ’র যৌথ কমিটি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাণিজ্যিক স্বার্থেই নতুন ফেরিঘাট চালুর পথে এগোচ্ছে সংস্থা দুটি। তা ছাড়া ফেরি না চললে নৌপথ সচল রাখার জন্য বিআইডব্লিউটিএ আর খনন বরাদ্দও পাবে না। বন্ধ হয়ে যাবে খনন প্রকল্প। ফলে প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার সুযোগও বন্ধ হয়ে যাবে। 

কর্মকর্তারা বলছে, পদ্মা সেতু চালুর আগে মাওয়া-কাওড়াকান্দি ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির বাৎসরিক আয় ছিল ১০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে আয় ছিল ২৫০ কোটি টাকা। বাৎসরিক হিসাব বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিআইডব্লিউটিসি ফেরি সার্ভিস থেকে মুনাফা করেছে ১৯২ কোটি টাকা।

হঠাৎ নতুন ফেরিঘাট চালুর প্রতি সরকারি দুই সংস্থার এই আগ্রহ সম্পর্কে নৌ সড়ক এবং রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আশিষ কুমার দে বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর আয়ে টান ধরেছে। আয় বাড়াতেই এই উদ্যোগ। সরকারি আয়ের যা-ই হোক, অসাধু কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত আয় কমেছে। কারণ ফেরি থাকলে তেল চুরি, সংস্কারকাজের কমিশন ছাড়াও মাসোহারা পাওয়া যায়। কিন্তু ফেরি না থাকলে তো কিছুই পাওয়া যাবে না। তাই দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা থেকে বিআইডব্লিউটিসির পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ-ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফেরি সার্ভিস চালুর পথ খুঁজছে।’ 

তবে বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক আরিফ হাসনাত বলছেন, ‘যেসব এলাকায় নতুন ফেরিঘাট হচ্ছে, তা সেখানকার মানুষজনের দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই হচ্ছে।’ নতুন ফেরিঘাট স্থাপন কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এতে অনেক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। সময় এবং পরিবহন ব্যয় বাঁচবে।’

বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান যা বলছেন

জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব এসএম ফেরদৌস আলম বলেন, যখন কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, তখন এর সঙ্গে বৈদেশিক সাহায্যও থাকে। ফলে সব প্রকল্প চাইলেই বাতিল করা সম্ভব হয় না। 

বিআইডব্লিউটিসির এ প্রকল্প বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয়েছে জানালে চেয়ারম্যান বলেন, ‘তখন কোন প্রেক্ষাপটে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে সেটি আমি বলতে পারছি না। তিনি বলেন, আজ (রবিবার) একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে এই নৌযানগুলোকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখানে আমাদের বলা হয়েছে, বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে সমন্বয় করতে। কিন্তু এখন বাজেট স্বল্পতার কারণে বিআইডব্লিউটিএ আমাদের নতুন ঘাট নির্মাণ করে দিতে চাইছে না। এজন্য ফেরিগুলো কাজে লাগানো যাচ্ছে না।’ 

বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘অয়েল ট্যাংকার দুটি ব্যবহারের জন্য আমাদের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন।’ ফেরি চলাচলই যেখানে কমে আসছে, সেখানে এই অয়েল ট্যাঙ্কার কোথায় কাজে লাগানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন কোথাও কাজে লাগাব।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের প্রতি মাসে ছয় থেকে আট কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। আমাদের নৌযান আছে, কিন্তু সেখান থেকে আয় না হলেও সব ধরনের খরচ হচ্ছে। এই কারণেই এই লোকসান।’

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার বণিক বলেন, ‘বসে থাকা নৌযানকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করার জন্য বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা