× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সিসি ক্যামেরায় জোর ইসির

হুমায়ূন কবীর

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৪ এএম

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:৩২ এএম

ফটো সংগৃহীত

ফটো সংগৃহীত

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প স্থগিত হওয়ার পর এখন সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বাজেট পেলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় পরিসরে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে চায় ইসি। যদিও এ বিষয়ে কমিশনে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

কমিশন সূত্র জানায়, ৩০০ আসনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজারের মতো সিসি ক্যামেরা লাগতে পারে। আর মনিটর লাগবে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজারের মতো। ভাড়ায় এসব মেশিন ৩০০ আসনে ব্যবহার করতে হলে এগুলোর ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ বাবদ আনুমানিক ২৮০ থেকে ২৯০ কোটি টাকা লাগবে। আর এই কর্মযজ্ঞে ইন্টারনেট কানেকশনকে চ্যালেঞ্জ ধরা হচ্ছে। 

আগামী নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা আসার পর যতজনকে নিয়ে সংলাপে বসেছি, তারা প্রত্যেকে বলেছেন সিসি ক্যামেরা হলে ভালো হয়। সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতেই হবে আইনে তা বলা নেই। তবে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করে ইতিবাচক রেজাল্ট পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সিসি ক্যামেরার জন্য একটি বড় বাজেট লাগবে। তার ওপর ৩০০ আসন ম্যানেজমেন্ট করা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেগুলো কীভাবে করা যায়, আদৌ করা সম্ভব কি না বা করলেও কতটুকু করা যায়, বাজেট কতটুকু আনা যাবে, কীভাবে এর সমাধান করা যায় সেটি নিয়ে সব সময় আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। যেহেতু এটি এখনও প্রক্রিয়াধীন বা আলোচনার মধ্যে রয়ে গেছে। তাই এ বিষয়ে নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলতে পারছি না। নির্বাচন হতে এখনও বছরখানেক দেরি আছে। এই এক বছরের মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায় এটিও আমরা বুঝতে পারব। সবকিছু মিলিয়ে একটি সিদ্ধান্তের প্রশ্ন, অগ্রিম কিছু বলা যাবে না।

বেগম রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, সিসি ক্যামেরার ব্যবহার আমাদের জন্য ভালো হয়, আপনাদের জন্য ভালো হয়, ভোটারদের জন্যও ভালো হয়। আমরা তো চাইব ভালোটার দিকেই যেতে। সেই ভালোটাও করতে গেলে অর্থনীতি একটি বড় জিনিস। কমিশন চাইলেই তো নিজে নিজে তা করতে পারবে না। পরিস্থিতি যদি আমাদের পারমিট করে সিসি ক্যামেরা নিশ্চয়ই করব। আমাদের হানড্রেড পারসেন্ট ইচ্ছা আছে। নির্বাচন ভালো করতে যা যা করণীয় আমরা সবই করতে চাই। ইভিএমের জন্য যেমন প্রজেক্ট পাস করতে হয়, সিসি ক্যামেরার জন্য আমার মনে হয় না তেমন দরকার পড়বে। যদি প্রজেক্ট দরকার না হয়, তাহলে নির্বাচনী বাজেটের সঙ্গে দেখব কতটুকু কী করা যায়।

এখন পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১ হাজার ২০০, রংপুর সিটি করপোরেশনে ১ হাজার ৮০০, গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ১ হাজার ২৪২, ফরিদপুর-২ উপনির্বাচনে ১ হাজার ১৫০, ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ হাজার ৩৯০ এবং সাতটি পৌরসভায় ৯০০টি নিয়ে মোট ৭ হাজার ৬৮২টি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছে কমিশন। 

নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়টি দেখভাল করছেন ইসির আইডিইএ প্রকল্পের ডিপিডি (কমিউনিকেশনস) স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম।

তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আমরা যদি ৩০০ আসনে ৪৫ হাজার কেন্দ্র ধরি সেক্ষেত্রে ৩ লাখ ৯০ হাজারের মতো সিসি ক্যামেরা লাগবে। আর এগুলো মনিটরিংয়ের জন্য ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার মনিটর লাগবে। তবে কেন্দ্র বা বুথের সংখ্যা কমবেশি হলে এই সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে। গতবার ৪১ হাজার কেন্দ্র ও ২ লাখ ৯০ হাজারের মতো বুথ ছিল। আমরা এবার এগুলো থেকে কিছু বাড়িয়ে ধরে হিসাবটি করে রেখেছি। কেন্দ্র ও বুথসংখ্যা চূড়ান্ত হলে সঠিক হিসাবটি বলা যাবে।

৩০০ আসনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে একমাত্র চ্যালেঞ্জ ইন্টারনেট কানেকশন উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এতসংখ্যক সিসি ক্যামেরা কিনতে গেলে খরচ বেশি পড়ে যাবে। এছাড়া পরবর্তীতে এগুলো সংরক্ষণের জায়গাও পর্যাপ্ত নেই। ৫ থেকে ৬ মাস সময় পেলে ৩০০ আসনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা সম্ভব।

তিনি বলেন, দেশের এমন কোনো উপজেলা নেই যেখানে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়নি। জেলা পরিষদে কেন্দ্রসংখ্যা কম হলেও দেশের ৪৬৫টি উপজেলায় একসঙ্গে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। গাইবান্ধার ৩৭টি চরাঞ্চলে, কুতুবদিয়া ও সন্দ্বীপের মতো উপজেলায়ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।

এতসংখ্যক সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসল কাজ তো সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা। স্থাপন করা হয়ে গেলে প্রত্যেক আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বা উপজেলা পর্যায়ের কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দিয়েই এটি মনিটরিং করা সম্ভব। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো নির্বাচন কমিশন থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। এছাড়া কমিশন সচিবালয় থেকে যেকোনো আসনের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থাও রাখা হবে- যোগ করেন তিনি। 

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকার নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে ভোট বন্ধের নির্দেশ দেয় কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। বাংলাদেশের ইতিহাসে অনিয়মের কারণে কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন পুরোপুরি (সব কেন্দ্র) বন্ধ করার ঘটনা যা প্রথম।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা