× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

এরশাদকে নিয়ে মন্তব্যে সংসদে হট্টগোল

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ০০:৩৪ এএম

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ০০:৪৭ এএম

এরশাদকে নিয়ে মন্তব্যে সংসদে হট্টগোল

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে সংসদে হৈ চৈ, হট্টগোল হয়েছে। 

লালমনিরহাট-১ আসনের সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের বক্তব্যের জেরে এর সূচনা হয়। তিনি বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।’ এর প্রতিবাদেই চিৎকার শুরু করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। কিছু সময় চলে এই হৈ চৈ ও হট্টগোল। 

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সংসদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। ঘটনার সময় তাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় দেখায়। পরে সভাপতির চেয়ারে আসেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী । তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ পর্যায় তিনি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তথ্যগত কোনো ত্রুটি থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করে এক্সপাঞ্জ করার রুলিং দেন। 

এ দিন সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার জন্য ফ্লোর পান মোতাহার হোসেন। তিনি বলেন, ছয়বার সংসদে এবং দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রথমবার ৫৫ হাজার ভোটে জিতেছি। গতবার জিতেছি ২ লাখ ৫৫ হাজার ভোটে। গত ভোটে (২০১৪) আমার স্ট্রং প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। উনি মাত্র ৭ হাজার ভোট পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল হাতিবান্ধা-পাটগ্রামে। 

মোতাহার হোসেনের বক্তব্যের শুরুতে জাতীয় পার্টির এমপিরা সংসদে ছিলেন না। তবে তার বক্তব্যের আট মিনিটের মাথায় ফিরোজ রশীদ দাঁড়িয়ে মাইক ছাড়াই কথা বলতে শুরু করেন। এ সময় মোতাহার হোসেন থেমে যান। কিছুক্ষণ পর সভাপতির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার তাকে বসতে বলেন এবং পরে চাইলে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর দেবেন বলে জানান। তাতে তিনি নিবৃত না হয়ে মাইক ছাড়াই কথা অব্যাহত রাখেন।

এ সময় মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আপনি সিনিয়র সংসদ সদস্য। আমার সময়ে আরেকজন বক্তৃতা দেবেন কীভাবে?’ এ সময় মোতাহার হোসেনের মাইকও বন্ধ করে দেওয়া হয়। মোতাহার হোসেনকে দাঁড় করিয়ে রেখে ডেপুটি স্পিকার কাজী ফিরোজ রশীদকে এক মিনিটের জন্য ফ্লোর দেন। তিনি এক মিনিটের মতো কথা বলেন। তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনি পরে সময় নিয়ে যদি কোনো বক্তব্য থাকে বলবেন। ঠিক এ সময় মশিউর রহমান রাঙ্গা দাঁড়িয়ে মাইক ছাড়াই কথা বলতে শুরু করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার মোতাহার হোসেনকে একটু অপেক্ষা করতে বলেন, ‘আমি রাঙা সাহেবকে একটু শুনি।’

‘উনি (এরশাদ) ২০১৪ সালে নির্বাচন করতে চাননি। আমরা তাকে নির্বাচন করার অনুরোধ করি। আমি সিএমএইচে গিয়ে বলি, আপনি যদি না চান নির্বাচন করার সাত দিনের মধ্যে আমাদের বলবেন। আমরা সবাই রিজাইন করব। তার পরিণতি যদি এভাবে হয়!’ রাঙ্গা আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সম্মান দিতে না পারার কারণে এখানে দাঁড়িয়ে কিন্তু কেঁদেছেন উনি (এরশাদ)। সেই মানুষটাকে অপমান করা! বিরোধী দলের নেতা থাকা অবস্থায় তাকে নিয়ে টানাহেচড়া, আমাদের তো দুঃখ লাগবে।’

এ সময় স্পিকার জানতে চান তিনি কোন সালের কথা বলছেন। জবাবে রাঙ্গা বলেন, এটা ২০১৪ সালের ঘটনা।

এরপর জাপার সদস্যরা ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন। মোতাহার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে ফিরোজ রশীদ বলেন, উনি এতবড় বীর বিক্রম হয়ে গেলেন? এরশাদ সাহেবের জামানত বাজেয়াপ্ত হলো। যে নির্বাচনে এরশাদ সাহেব দাড়ানইনি। তার কোনো প্রার্থীকে দাঁড়াতে দেননি। আমাকে দিয়ে উইড্রো করালেন, পরে আমি দাঁড়িয়েছি। তার আদেশ অমান্য করে ১৪ সালের নির্বাচনে দাঁড়াই। না হলে এই সংসদ থাকে না। এরশাদ সাহেব নির্বাচন করেননি। জোর করে রাঙ্গা একখানা নমিনেশন.. সে তো একটা নাপিতের কাছে হারিয়ে গিয়েছিল। কোথাও ভোট চাইতে যাননি। সিএমএইচে এ ভর্তি। একটা আসনে জয়লাভ করেছেন। এরশাদ সাহেবের জামানত রংপুরে বাজেয়াপ্ত করার মতো সন্তান রংপুরে আজ পর্যন্ত জন্ম নেয়নি। তার নামে কথা বলার আগে অনেকবার চিন্তা করা দরকার ছিল। তিনি একটি দলের চেয়ারম্যান। আমরা কিন্তু অন্য দলের চেয়ারম্যানকে নিয়ে কিছু বলি না। দৃষ্টতার একটি সীমা থাকে। এটা সম্পূর্ণ এক্সপাঞ্চ চাই। আমাদের দাবি এটা এক্সপাঞ্জ করবেন। না হলে রংপুরের মাটিতে তার অসুবিধা হবে।

স্পিকার এ ইস্যুতে রুলিং দেন। তিনি বলেন, যদি তথ্যগত ত্রুটি থেকে থাকে, তাহলে সেটা বিবেচনা করে তা পরীক্ষা করে এক্সপাঞ্জ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা