৩০ হাজার শ্রমিক নেবে রোমানিয়া : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নতুন শ্রমবাজার খোঁজায় বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোমানিয়া এবং লিবিয়াতে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে। রোমানিয়া ৩০ হাজার শ্রমিক নিতে চেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলন থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জেলা প্রশাসকদের বলেছি, শ্রমিকদের স্থানীয়ভাবে কীভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় সে ব্যবস্থা করতে। পাসপোর্টে হয়রানি প্রতিরোধেও জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রবাসীদের আইনগত সহায়তা দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকার সময় তাদের বাড়িঘর দখল হয়ে যায়। দেশে ফিরে এসব সম্পদের দখল নিতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি, এ ধরনের ভুক্তভোগীদের আইনগত সহায়তা দিতে।

ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে আমরা আর একটিও রোহিঙ্গা নেব না। কিন্তু তাদের ওখানেও সংঘাত চলছে। এই পরিস্থিতিতে আসলে কী হবে আমরাও বলতে পারছি না। মিয়ানমার বলেছে, তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়ে যাবে। কিন্তু ৬০ বছর হয়ে গেল একজনকেও ফেরত নেয়নি।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা এবং বান্দরবানের কিছু এলাকায় ভারতের ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। আমরা বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত এর সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে বিদেশে গিয়ে অনেকে সমস্যায় পড়ছেন। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে। যাতে কেউ অবৈধভাবে বিদেশে গিয়ে নির্যাতনের শিকার না হয়।

প্রবাসীদের অনেক জমি অনাবাদি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকার কথা তুলে ধরে বলেন, সিলেটে এ রকম অনাবাদি জমির পরিমাণ বেশি। বেদখল হওয়ার আশঙ্কায় এসব জমি বর্গা দেওয়া হয় না। আমি জেলা প্রশাসকদের বলেছি, সরকার যদি এখানে প্রকল্প করে তাহলে প্রবাসীরা জমি দেবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় ছোট ছোট উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে যা ওই অঞ্চলে বিশেষ প্রভাব ফেলছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের বিষয়গুলো জানাতে বলেছি। যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি প্রচার করা যায়। এতে দেশের ইজ্জত বাড়ে।