প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২২ ১৩:১২ পিএম
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৩১ পিএম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিস পাঠান।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোটিসে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন। এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৯ আগস্ট বিকেলে গণমাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত বিষয়ক বক্তব্যের তথ্য পান।
গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি।’
এর আগে, গত ১২ আগস্ট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। দেশের মানুষ ‘বেহেশতে’ আছে।
এরপর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েন মোমেন।
তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি তার শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে জানান হয় নোটিসে।
এতে আরও বলা হয়, তার এ বক্তব্য সার্বভৌমত্বকে আঘাত করেছে। তাই নোটিস পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেছি। অন্যথায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করার ব্যাখ্যায় ড. মোমেন বলেন, আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।