জলাবদ্ধতা
প্রতিদিনের বাংলাদেশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২২ ১৯:৩১ পিএম
মেয়রের বাড়ির সামনে পানিতে থই থই
ভারী বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন রাস্তাসহ শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতে হাটু পর্যন্ত ও সামনের গলিতে কোমর সমান পানি জমেছে। এ কারণে নগর ভবনে যেতে না পারায় সাতটি সভা বাতিল করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটের বহদ্দারবাড়িতে মেয়রের বাড়ি। সেখানে দোতলা ভবনের নিচতলা, উঠান ও সামনের সড়ক প্রায় কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে। চার দিন ধরে মেয়রের বাড়ি এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে।
মেয়রের বাড়ির ভেতর পানিতে থই থই
মেয়রের একান্ত সচিব (পিএস) মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে ঘরে আটকে পড়া মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সোমবার নগরের টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে যেতে পারেননি। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিটি করপোরেশন পরিচালিত সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের পৃথক পৃথক সভা ছিল। কিন্তু পানির কারণে মেয়র ঘর থেকে বের হতে না পারায় সভাগুলো স্থগিত করা হয়।
মেয়রের ওই পৈতৃক বাড়িতে প্রায় বছর পানি ওঠে। গত বছরও জলাবদ্ধতায় একাধিকবার তলিয়ে গিয়েছিল মেয়রের বাড়ির উঠান ও সামনের রাস্তা। আশপাশের এলাকাগুলোতেও একই অবস্থা। একেকবার পানি উঠলে নামতে ১০ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, চাক্তাই খালসহ আশপাশে খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে মেয়রের বাড়িতে বারবার পানি ওঠে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) খালগুলোতে বাঁধ দিয়ে রেখেছে। এ জন্য পানি নামতে পারছে না।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চসিক ঠিকমতো নালা-নর্দমাগুলো পরিষ্কার করলে অন্তত পানি দ্রুত নেমে যেত। কিন্তু তা না করার কারণে বারবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসও দাবি করেছেন, খাল থেকে বাঁধ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষ নালা-নর্দমাগুলো ঠিক সময়ে পরিষ্কার করলে পানিনিষ্কাশনে বাধা থাকত না।