প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:১৮ এএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:২২ পিএম
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে শনিবার (৭ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের আয়োজিত মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত
চলমান পুলিশ সপ্তাহের পঞ্চম দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরছেন বাহিনীর কর্মকর্তারা। তারমধ্যে অন্যতম দাবি হলো, কাগজে কলমে অধিদপ্তর নয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স হিসেবে লিখতে চান তারা।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে শনিবার (৭ জানুয়ারি) পঞ্চম দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আমিনুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
শনিবার রাত আটটায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন টেলিকম অডিটরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়। এ সময় পুলিশের অতিরিক্ত আইজি এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলামসহ ১১ জন, ১৩টি দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরকে হেডকোয়ার্টার্স করা, সিভিল স্টাফদের অবসরকালীন রেশন ভাতা প্রদান, আইজিপির ব্যাংক্স ব্যাজ ফোরস্টার (বর্তমানে থ্রি স্টার আছে) করা, পুলিশ হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ করা, বঙ্গবন্ধু ইউনিভার্সিটি অব পুলিশ অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস নামে পুলিশের জন্য একটা বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিও জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়াও সাইবার অপরাধের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরা হয়।
এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি এসেছে। যত বেশি আমরা পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে পারব তত বেশি দক্ষ পুলিশ বাহিনী তৈরি হবে। এটাও যৌক্তিক দাবি। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তর করার জন্য দাবি এসেছে। আপনাদের হাসপাতালটা একটা ভালো মানের হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে। এটাকে আপনারা কলেজে রূপান্তরিত করতে চান। আপনারা বিষয়টা আরও একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলবেন। কারণ আমাদের যে পরিমাণ মেডিকেল কলেজ আছে, কোনো কোনো মেডিকেল কলেজে তো শিক্ষকই নেই। এ বিষয়টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমাদের সচিব দেখবেন। প্রত্যেক বিভাগে একটা করে আধুনিক হাসপাতাল হবে এটাও আমি যৌক্তিক দাবি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স নামটি ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। এটা বলা যেতেই পারে এখানে কোনো সমস্যা নেই। কেন বলা হয় না এটা আমি নিজেও জানি না।’
এ সময় মন্ত্রী বলেন, যে দাবিগুলো মন্ত্রণালয় থেকে জ্যেষ্ঠ সচিব করতে পারবেন এগুলো সচিব দ্রুততম সময়ে করে দিবেন। আর যেগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের প্রয়োজন সেগুলো পর্যায়ক্রমে ও যেখানে যেটা প্রয়োজন আলোচনা করে পূরণ করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।