প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৪১ পিএম
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:১৬ পিএম
শনিবার বিকালে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লংমার্চ শাহবাগে পৌঁছালে এতে বাধা দেয় পুলিশ। প্রবা ফটো
জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিতে আয়োজিত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লংমার্চে বাধা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন। তবে শাহবাগে পৌঁছানোর পর মিছিলের মুখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসির দিকে ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ।
তবে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চাটির চার নেতাকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরা হলেন অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, কাদল দেবনাথ, নিমচন্দ্র ভৌমিক ও ঊষাতন তালুকদার।
শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালী মন্দিরে সমাবেশ করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত।
এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন।
এগুলো হলো—জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, বৈষম্যবিলোপ আইন প্রণয়ন এবং পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়ন।
লিখিত বক্তব্যে রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাহাত্তরের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সংবিধানে ফিরে যেতে আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানাই। স্বাধীন বাংলাদেশেও বছরের পর বছর একটানা বঞ্চনা, বৈষম্য, নিগৃহ, নিপীড়নের শিকার হয়ে এরই মধ্যে অনেকে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।’
২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠনের অঙ্গীকার করেছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই এসব অঙ্গীকার পূরণের দাবি জানান বক্তারা।
শনিবারের সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের বিভাগীয় সদর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে মশাল মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের অন্যতম সভাপতি ঊষাতন তালুকদার। এ সময় আরও ৩৩টি সংখ্যালঘু সংগঠন তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানায়।