জবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪১ পিএম
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৯ পিএম
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপু হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—তারিকুল ইসলাম ওরফে মিল্লাত, বাবু, বাবুল ওরফে চায়না বাবুল, খায়রুল বাশার ও সুমন ওরফে পাতলা সুমন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রথম দুজন আদালতে হাজির হন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচজনকে খালাস দিয়েছে আদালত। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন সোহেল, আলম, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন ও উজ্জল।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাঁটলিপিকার সোহানুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই বিকালে ডেমরার বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন বিপু। সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিবেশী বাবু বাসায় এসে বিপুকে ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে যান। এর ১৫-২০ মিনিট পর বিপুর বাসার কাজের মেয়ে বাসায় এসে জানায়, বিপু রাস্তার মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। বিপুর খালা রোকসানা আক্তার ও প্রতিবেশী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ওই দিনই ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন।
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০০৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলার সময় আদালত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।