প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:১৭ এএম
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ফাইল ফটো
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
আজ রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) শুভ বড়দিন। এ উপলক্ষে দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা সারা বিশ্বে মহামতি যিশুখ্রিষ্টের শুভ জন্মদিনকে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বড়দিন হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।
রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, ‘খ্রিষ্ট ধর্মানুসারে যিশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত এবং আলোর দিশারি। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে তিনি বহু ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও শান্তির বাণী প্রচার করেন। পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আসার আহ্বান জানান। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাগতিক সুখের পরিবর্তে যিশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।’
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে।
রাষ্ট্রপতি কামনা করেন, বড়দিন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ সবার জন্য বয়ে আনুক অশেষ আনন্দ ও কল্যাণ, সবার জীবন ভরে উঠুক সুখ ও সমৃদ্ধি।
এ উপলক্ষ্যে আজ বঙ্গভবনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, ‘খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের জন্য আয়োজিত এই অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানটি আজ সন্ধ্যায় ৭টায় বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে শুরু হবে।’ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপ্রধান যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষ্যে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
বঙ্গভবনের এই মুখপাত্র আরো জানান, বঙ্গভবনে ৩০ জনের মতো অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতা ও সচিবগণ, বিভিন্ন বিদেশী মিশনের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধি, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ধর্মীয় নেতারা এতে অংশ নিবেন।