চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৩৭ পিএম
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:১৫ পিএম
পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : প্রবা
দেশের যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে নবীন নৌসেনাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সততা, নেতৃত্ব ও আত্মোৎসর্গের গুণে বলীয়ান হয়ে সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপনাদের সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে (বিএনএ) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘মিডশিপমেন্ট ২০২০ আলফা ব্যাচ’ এবং ‘ডাইরেক্ট এন্ট্রি ২০২২ ব্রাভো ব্যাচ’-এর ক্যাডেটদের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী সবসময়ই দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা যেকোনো দুর্যোগ চলাকালে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও ত্রাণ বিতরণ করেছে। আমি চাই নৌবাহিনীর নতুন কর্মকর্তারা আন্তরিকভাবে কাজ করুক। আপনাদের সবসময়ই শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে। দেশপ্রেম হৃদয়ে ধারণ করে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।’
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খোদা না করুক, যদি কখনও বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়, সেটা যেন প্রতিহত করতে পারি। আর যেকোনো যুদ্ধে যেন জয়ী হতে পারি, সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ও আধুনিক সরঞ্জাম দিয়েই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেই বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রযুক্তির জ্ঞানে নিজেদের প্রস্তুত করবে। আমাদের অর্থনীতি ও যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিজিটালি সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশ একটি স্মার্ট বাংলাদেশ ও উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হবে; যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল।’
সমুদ্রসীমা আইন করার উদ্যোগের পেছনে জাতির পিতার অবদান স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে সমুদ্রসীমা আইন বাস্তবায়ন হয়েছে। ফলে বিশাল সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে পররাষ্ট্রনীতি আমাদের দিয়ে গেছেন; সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই চলব।’
অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন, পুরস্কার বিতরণ ও বক্তব্য দেওয়ার পর হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।