প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৫৬ পিএম
সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাব বিষয়ক এক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: প্রবা
কনফারেন্স অব পার্টিজ (কপ) নামে পরিচিত জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি পালন করে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় রয়েছি। কারণ আমাদের কার্বন নি:সরনের হার কম। কিন্তু যে সব বেশি কার্বন নি:সরণ করে, তারা বিভিন্ন সময় ক্ষতিপূরণে প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে সেটি বাস্তবায়ন করেনি।’
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাব বিষয়ক এক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘আমার সমস্যা আমাকেই সমাধান করতে হবে। আমার সুরক্ষার দায়িত্ব আমাকেই নিতে হবে। আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজন সক্ষমতা বাড়ানো। আগের তুলনায় আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। মানুষের অভিযোজন ক্ষমতা বেড়েছে। সেটিকে আরও বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে মানুষ ও ফসল রক্ষার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ও সামনের দিনেও নেবে। আমরা প্রতিবছর কোটি টাকা ব্যয় করছি বাঁধ নির্মাণে, নদী শাসনে। সবার আগে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে হবে।’
সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতি বছর ৫০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ শরণার্থী হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব জনজীবনে দীর্ঘমেয়াদী। তবে আমরা দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কপ সম্মেলনে দেশগুলো ৩০ শতাংশ জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনের কথা বলেছিল। বাংলাদেশ সেই লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে। আমরা মাত্র তিন শতাংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছি সোলার প্যানেল থেকে। যেখানে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ শতাংশ। তবে আমাদের সুযোগ আছে, পথ আছে, কিন্তু সমন্বিত পরিকল্পা করা হয়নি।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলমসহ অনেকে।