× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অতিরিক্ত সার ও কীটনাশকে কমছে মাটির উৎপাদনশীলতা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫ ২১:০৫ পিএম

অতিরিক্ত সার ও কীটনাশকে কমছে মাটির উৎপাদনশীলতা

অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারে দেশের কৃষি জমির মাটির স্বাস্থ্য ও উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। এতে ব্যয় বাড়ছে ও ফসল উৎপাদনের পরিমাণ কমছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেন, কৃষকরা সঠিক জ্ঞান ও পরামর্শের অভাবে প্রয়োজনের তুলনায় ৩-৪ গুণ বেশি সার ব্যবহার করছেন। এতে জমির গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে এবং উপকারী পোকা-মাকড় ধ্বংস হচ্ছে।

রবিবার (১ জুন) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) বার্ষিক কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানীরা তাদের তথ্য উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন। 

এসআরডিআই’র মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব)

ড. নাজমুন নাহার করিম প্রমুখ। প্রথম দিনে বিভাগভিত্তিক মাটি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

খুলনা বিভাগের উপস্থাপনায় বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে ৩ হাজার মাটি পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩ হাজার ৩৮৭টি মাটি পরীক্ষা দেখা গেছে, খুলনার কৃষকরা প্রয়োজনের চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি সার ব্যবহার করছে। আধা কেজি জিঙ্ক সারের জায়গায় ৮ কেজি দস্তা ব্যবহার করছে। এমনকি গুড়া চুনকে সালফার হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব সার ফসলে প্রয়োগ করায় গাছের পাতা পুড়ে যায়। 

সিলেটের মোট জমির ৯৫ শতাংশই অম্লিয় মাটিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে ফসফরাসের ব্যবহার বাড়ছে। আর ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ২৬০টি সারের স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, এই সময়ের মধ্যে জিংঙ্ক সারে ৫৩ শতাংশ ভেজাল পাওয়া গেছে। 

বরিশাল অঞ্চলের সারের মধ্যে ৮৩.৬৩ শতাংশ ভালো ও ১৬.৩৭ শতাংশ ভেজাল সার পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামে ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করায় মাটিতে ফসফরাসের পরিমাণ বাড়ছে। তা ছাড়া রংপুর অঞ্চেলের ২ লাখ ৭৮০ হাজার হেক্টর জমিতে অম্লতা পাওয়া গেছে। এতে মাটির উর্বরতা কমছে।

কর্মশালায় ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান মানহীন সারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি অনেক জায়গায় ডিলাররা মানহীন সার সরবরাহ করছে। এতে জমির স্বাস্থ্যহানী হচ্ছে ও ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এ সময় তিনি সারে ভেজাল দেওয়াদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা জানান, ৫০টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

কৃষির জন্য প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রাখা উল্লেখ করে কৃষি সচিব বলেন, মাটির স্বাস্থ্য সঠিক না হলে সব ধরনের ফসল উৎপাদনে ঘাটতি হবে। তাতে করে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে। কৃষির মোট বাজেটের ৭০ শতাংশই সারে ভর্তুকিতে চলে যায়। সেখানে আমরা সার প্রয়োগ কমাতে পারলে অনেক টাকা বেঁচে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বছরে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি কৃষিঋণ বিতরণ করি কিন্তু সেখানে ১০ শতাংশ সত্যিকার কৃষকরা পায় না। তারা ভালো বীজ পায় না। অথচ ভালো বীজ পেলে ১০ শতাংশ উৎপাদন বেড়ে যাবে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মারুফ কামাল খান

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা