গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫ ২০:৫১ পিএম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শিল্প কারখানায় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়াও জলাধার ও নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং শিল্প কারখানার ব্যবহৃত পানি রিইউজ করতে বাধ্য করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় গাজীপুর শহরের পিটিআই অডিটোরিয়ামে নদী ও জলাভূমি সিম্পোজিয়াম ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা ঢাকার ৪টি নদী দখল-দূষণমুক্ত করার চুক্তি করে কর্মপরিকল্পনা দিয়ে যাব। কারণ এগুলো আমাদের সময় করতে পারব না। তবে আমাদের সময়ের মধ্যেই তুরাগ নদের পুনরুদ্ধার শুরু হবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই নদী নিয়ে তথ্যবহুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গাজীপুরের ওপর দিয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, শীতলক্ষ্যা, বানার, চিলাই, লবণদহ, শালদহ, গোয়ালী, তুরাগ, বংশী, বালু, গোয়াল্লার, পারুলীসহ আরও কয়েকটি ছোট নদ-নদী বয়ে গেছে। রয়েছে অনিন্দ্য সুন্দর বোলাই, মকশ বিলসহ কয়েকটি স্বাদুপানির জলাধার। দখলে, দূষণে বিপর্যস্ত থাকা সত্ত্বেও এসব নদী সমাজ-সংস্কৃতিতে প্রভাব রেখে চলেছে। সমৃদ্ধ করছে ভূগর্ভস্থ পানিকেও। সব ধরনের প্যারামিটারে গ্রহণযোগ্য মাত্রা এবং স্বাদের আলাদা ধরনই ছিল এ অঞ্চলের পানির অনন্য বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়া এসব নদী ছিল মৎস্য সম্পদের এক বিশাল ভান্ডার।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই জেলার পানির গুণগত মান কমছে। কোথাও কোথাও পানিতে দ্রবণীয় অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্যের ঘরেও চলে যাচ্ছে। এর জন্য নদীদূষণ সর্বাংশে দায়ী। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নদী ও জলাভূমিকে রক্ষা করার পথ খুঁজতে আজকের এই আয়োজনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় নদী ও জলাভূমি সিম্পোজিয়াম থেকে ১৬টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় এবং প্রস্তাবনাগুলোর বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. জাবের সাদেক, বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি মো. রাশেদুল করিম মুন্না প্রমুখ।