× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

৮ ঘণ্টা কর্মদিবস এখনও স্বপ্ন

আহমেদ ফেরদাউস খান

প্রকাশ : ০১ মে ২০২৫ ১৩:৫৫ পিএম

৮ ঘণ্টা কর্মদিবস এখনও স্বপ্ন

মরিয়ম বেগম (ছদ্মনাম) রাজধানীর উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন। দিনে ১২ ঘণ্টা ডিউটি করেন। সপ্তাহে সাত দিনই কাজ করতে হয় তাকে। শুধু মরিয়ম বেগমই নয়, বাংলাদেশের বহু কারখানা বা প্রতিষ্ঠান শ্রম আইন না মেনে শ্রমিকদের বেশি কাজ করাতে বাধ্য করছে।

জানা যায়, দরিদ্রতা ও শ্রমিক আধিক্যর সুযোগ নিয়ে কারখানাগুলো শ্রম আইন ভাঙছে। সরকারের জোরালো নজরদারি না থাকায় ইচ্ছেমতো পরিচালিত হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানগুলো। শ্রমিকরা চাকরি হারানোর ভয়ে নিশ্চুপ থাকেন। ফলে কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করাচ্ছেন। তাই সরকারের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর নেতারা।

তারা জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন কর্মদিবস ৬ ঘণ্টা করার দাবি উঠছে। সেখানে বাংলাদেশে এখনও ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস কার্যকর করা যায়নি। শ্রমিকরা ছুটি, বেতন-ভাতায় চরম বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন। দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে ওভারটাইম করানো বাংলাদেশে একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অনিয়ম থেকে শ্রমিকদের মুক্ত করতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা দরকার।

২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গড়ে ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ শ্রমিক সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন। যেখানে পুরুষের সংখ্যা ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ। আর নারী কাজ করেন ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। দেশের শ্রমিকরা গড়ে মজুরি পান সাড়ে ১২ হাজার টাকা। কর্মক্ষম শ্রমিকের দারিদ্র্যের হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশের জিডিপিতে শ্রম আয়ের অবদান ৪৩ শতাংশ। 

মরিয়ম বেগম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বয়স বেশি হয়েছে, লেখাপড়াও করিনি। এই বয়সে কোথায় চাকরি পাব। ১২ ঘণ্টা ডিউটি করতে অনেক কষ্ট হয়। তারপরও তো এটা করেই খাই। এই কাজ না করলে তো না খেয়ে থাকতে হবে। তাই বেশি কষ্ট হলেও আমরা মেনে নিতে বাধ্য। কয়দিন আগেও বেশ কয়েকজনের চাকরি গেছে। ভয়ে থাকতে হয়, কখন আবার চাকরি চলে যাওয়ার লিস্টে নাম চলে আসে।’

২০২১ সালের আইএলও সমীক্ষায় দেখা গেছে, গুরুতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা সংগ্রহ করছেন ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অবসরের বয়সের বেশি বয়সি ব্যক্তিরা পেনশন পাচ্ছে ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ। কমপক্ষে একটি সামাজিক সুরক্ষা সুবিধার আওতাভুক্ত মাত্র ২২ শতাংশ মানুষ। মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছেন মাত্র ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ মায়েরা। কর্মক্ষেত্রে আঘাতের ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিক চিকিৎসা সুবিধা পায় মাত্র ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। 

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মো. রুহুল আমিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এখনও আমাদের দেশে শ্রমিকের সামাজিক নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই। তার মধ্যে প্রথম খাদ্য নিরাপত্তা নেই। এরপর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত নিরাপত্তাও নেই। নিরাপত্তার বিষয়ে মালিকরা তো উদাসীন আছেই, রাষ্ট্রও যথাযথ ভূমিকা পালন করছে না। বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে অগ্রগতি, তাতে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। সে প্রতিযোগিতার মূল ভিত্তিই হবে শ্রমমানের উন্নয়ন ও বৈষম্য দূরীকরণ। শ্রমিকদের পেশাগত, খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তাসহ অপরাপর সব নিরাপত্তা ছাড়া রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়।


ওভারটাইম করানো হয় ৯৭ শতাংশ কারখানায় 

আইএলওর ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ কারখানায় শ্রমিকদের ওভারটাইম করানো হয়। আর ৪৫ শতাংশ শ্রমিক সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন। তবে অতিরিক্ত ওভারটাইম করলেও সেটিকে ইতিবাচক মনে করেন ৪৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ শ্রমিক। ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ শ্রমিকের মনোভাব অবশ্য ভিন্ন। অতিরিক্ত ওভারটাইমের বিপক্ষে তারা মত দেন। 

শ্রমিকের শ্রমঘণ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘মে দিবসের মূল চেতনা ৮ ঘণ্টা কাজ। বিজ্ঞান প্রযুক্তির বিকাশের ফলে শ্রমের প্রয়োজনীয়তা কমে যাওয়ায় ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে কর্মদিবস ৬ ঘণ্টা করার দাবি উঠেছে। আর বাংলাদেশে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন সেক্টরে এখনও ৮ ঘণ্টা কর্মঘণ্টা কার্যকর হয়নি এবং মজুরি কম বলে শ্রমিকরা জীবন বাঁচানোর তাগিদে ওভারটাইম করতে বাধ্য হয়। সে কারণেই বলছি, শ্রমমানকে বিবেচনা করলে জীবনধারণ উপযোগী একটা মজুরি নিশ্চিত করতে হবে, ৮ ঘণ্টা কাজের ভিত্তিতে।’ 

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা বৈষম্যে স্বীকার হয় অনেক। সরকারি চাকরিতে নারীরা ৬ মাসের গর্ভকালীন ছুটি পায়। কিন্তু শ্রমিকরা সেখানে পেত ১০৮ দিন। বর্তমান সরকার সেটা কয়েকদিন বাড়িয়ে ১২০ দিন করেছে। আমরা এই বৈষম্য মানি না। আমরা চাই একই দেশে একই নীতি থাকবে, দ্বৈত নীতি চলবে না। শ্রমিকদেরও ৬ মাস ছুটি নিশ্চিত করতে হবে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক ২০১৮ এক সমীক্ষায় দাবি করেন, কর্মক্ষেত্রে গালি ও কটূকথার শিকার হতে হয় প্রায় ৮৫ শতাংশ নারী শ্রমিককে। যৌন হয়রানির শিকার হন ১৩ শতাংশ নারী শ্রমিক। ৭১ শতাংশ নারী শ্রমিককে মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। প্রতিনিয়ত চাকরি হারানোর ভয়ে থাকেন তারা। চড় বা আঘাতের মতো শারীরিকভাবে হয়রানির শিকার হন ৩০ শতাংশ নারী শ্রমিক। এ ধরনের হয়রানির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশ নারী শ্রমিকই জানেন না যে তারা অভিযোগ করতে পারবেন।

ঢাকা ও গাজীপুরের ৬৪টি পোশাক কারখানার ১৫০ জন নারী শ্রমিক নিয়ে করা ওই সমীক্ষায় আরও জানানো হয়, অর্ধেক শ্রমিক দৈনিক ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা কাজ করার কথা জানিয়েছেন। ১০ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করেন ৫০ শতাংশের বেশি শ্রমিক; এর মধ্যে ৩৯ শতাংশ ১১-১২ ঘণ্টা কাজ করেন। এছাড়া ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা করেন ৮ শতাংশ নারী শ্রমিক। দুই শতাংশ শ্রমিক ১৪ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন। মাত্র ১ শতাংশ শ্রমিক দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করার কথা জানিয়েছেন।

এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘সরকারের ঘোষণার পরও ঈদের আগে মালিকরা সহনশীল থাকলেও ঈদের পরে বেপরোয়াভাবে বিভিন্ন জায়গায় কর্মীদের চাকরিচ্যুত করছেন। এখানে চাকরির নিরাপত্তা নেই। যখন চাকরির নিরাপত্তা থাকবে না, তখন শ্রমিকদের টেনশন বাড়বে। ভবিষ্যৎ জীবনের নিরাপত্তা না থাকলেও শ্রমিকদের মধ্যে ওই শিল্প সম্পর্কে দায়বোধ সৃষ্টি হয় না। সে যখন বঞ্চিত হচ্ছে তখন সে নিজের দায়িত্ববোধ ফিল করে না।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের সকল নিরাপত্তার জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা দরকার। সব সরকার ঘোষণা দিয়েছে, আশ্বস্ত করেছে কিন্তু এখনও চালু করা হয়নি। রেশনিং চালু করা এখন আমাদের জোরালো দাবি। শ্রমিকদের চাল, ডাল, আটা রেশন দিতে হবে। এটা একসময় ছিল। ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ সরকার এই দেশে রেশন চালু করেছিল। কিন্তু ১৯৮৩ সালে তা বাদ দেওয়া হয়। সেই রেশনিং ব্যবস্থা আবার চালু করতে হবে এবং শ্রম সংস্কার কমিশন যা সুপারিশ দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বনিম্ন মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা দিয়ে তা কার্যকর করতে হবে।’

আইএলও আরেক জরিপে জানায়, ২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে ১ হাজার ৪৩২ জন শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন ৫০২ জন। অনানুষ্ঠানিক খাতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১ হাজার ১০৩ জনের। সবচেয়ে বেশি ৬৩৭ জন মারা যান পরিবহন খাতে। এছাড়া নির্মাণ খাতে ১৪৯ জন এবং দৈনিক মজুরিভিত্তিক খাতে ২২০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং বিশ্বজুড়ে বছরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা রোগে ২৭ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিকদের মৃত্যু হয়। যেখানে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে মারা যান একজন শ্রমিক। বছরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত হন ৩৭ কোটি ৪০ লাখ শ্রমিক। এতে বৈশ্বিক জিডিপি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪ শতাংশ।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘উৎপাদনের সঙ্গে শ্রমিকদের একটা সম্পর্ক আছে। শ্রমিকরা ভালো থাকলে তারা কাজে মন দেয়। উৎপাদন ভালো হয়। আর বেতনের বিষয় বলতে গেলে তো সঠিক বেতন কোনটা, সেটা বলা কঠিন। কেউ বলে যে বেতন আছে, এটা সঠিক। আবার কেউ বলে আরও দরকার। তবে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মিল রেখে শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণ করা উচিত বলে মনে করি।’ 

 

এক লাখ শিশুশ্রমিক বেড়েছে

এদিকে গত ১০ বছরে দেশে প্রায় এক লাখ শিশুশ্রমিক বেড়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপে বলা হয়েছে, দেশে এখন ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭ জন শিশুশ্রমিক আছে। ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯। এ ছাড়া বর্তমান শিশুশ্রমিকদের মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। তবে ১০ বছরের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দুই লাখের মতো কমেছে। 

বিবিএস ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মে পর্যন্ত তিন মাসজুড়ে দেশের ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুদের ওপর এই জরিপ করে। জরিপে ৩০ হাজার ৮১৬ পরিবার অংশ নেয়। 

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, দেশে শিশুর সংখ্যা প্রায় চার কোটি। এর মধ্যে ২০ লাখ ৯০ হাজার শিশু গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে। তাদের মধ্যে আবার ২০ লাখ ১০ হাজার শিশুশ্রমিক কোনো পারিশ্রমিক পায় না। যারা পারিশ্রমিক পায়, তাদের গড় আয় মাসে ৬ হাজার ৬৭৫ টাকা। 

বিবিএসের জরিপ বলছে, কৃষি, শিল্প ও সেবাÑ তিন খাতেই শিশুশ্রম আছে। এর মধ্যে কৃষিতে ১ লাখ ৭০ হাজার, শিল্পে ১১ লাখ ৯০ হাজার এবং সেবায় ১২ লাখ ৭০ হাজার। সরকার ৪৩টি খাতকে শিশুশ্রমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। 

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর মঈন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিরতিসহ ৮ ঘণ্টা কাজই হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড। ১৮ সালে যখন শ্রম আইন সংশোধন করল। সেখানে দুইটা শব্দ পরিবর্তন করল যে, বিরতি ছাড়া শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজ করবে। শ্রম আইনের এই পরিবর্তনের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকরা ১ ঘণ্টা করে বেশি কাজ করছে। এই ১ ঘণ্টার ওভারটাইম মালিকদের দিতে হচ্ছে না। প্রতি মাসে ৫৪ ঘণ্টার বেশি কাজ করছে শ্রমিক। আর অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কোনো কর্মঘণ্টাই প্রযোজ্যই হয় না। দোকান কর্মচারী, রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের কোনো কর্মঘণ্টাই নেই। আগে প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কর্মঘণ্টা ছিল। এখন সেটাও নেই।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রমিকদের যে বেতন তাতে তো সংসার চলে না। ফলে ওভারটাইম করতে হয়। শিল্পশ্রমিকরা ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করে। বাকি শ্রমিকদের তো কোনো কর্মঘণ্টার হিসাব নেই। অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা তো ওভারটাইম পায় না। শ্রম আইনের অনেকগুলো ধারা শ্রমিকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে। এই শ্রম আইনে শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী ধারা করার দাবি জানাই। দোকান শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটি নেই, স্টিল মিল শ্রমিকরা কর্মঘণ্টা, ওভারটাইম ও সাপ্তাহিক ছুটিÑ কোনো কিছুরই বালাই নেই। এমনকি সাংবাদিকরাও ওয়েজবোর্ড পান না।’


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা