প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৫ এএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১৪ এএম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।
কমিশনের মতে স্থানীয় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সবার আগে প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার। এসব সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আয়োজন ফলপ্রসূ হবে না। একই সঙ্গে স্থায়ীভাবে একটি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বহাল রাখার বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেছে কমিশন।
রবিবার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় গিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। প্রায় ৫০০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে ৫১টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রয়েছে। হস্তান্তরের সময় কমিশনের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এরপর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন ড. তোফায়েল আহমেদ ও অন্য সদস্যরা। প্রতিবেদনে আগের মতোই স্থানীয় সরকারের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বহাল রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানকে একই আইনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।
কমিশন মনে করছে, এসব নির্বাচন একযোগে হলে ব্যয় ও ঝামেলা উভয়ই কমবে। পাশাপাশি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, তবে তারা চেয়ারম্যান বা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
চৌকিদার প্রথা বাতিল করে স্থানীয় সরকারের জন্য আলাদা একটি পুলিশ বাহিনী গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে। এ বাহিনীর কার্যক্রম তদারক করবেন একজন অতিরিক্ত আইজিপি। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী এ বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারের আদায়কৃত মূল্য সংযোজন করের এক-তৃতীয়াংশ স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের পর ১৮ নভেম্বর স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে আট সদস্যের এ কমিশন গঠিত হয়। এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি কমিশনপ্রধান একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন।