× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

তিন বিতর্কিত নির্বাচন

প্রশাসন ও ইসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা চায় পুলিশ

সাইফ বাবলু

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩১ এএম

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৩ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখা শুধু পুলিশ কর্মকর্তাই নন, অন্যদেরও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, ওইসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের জেতাতে ভোট কারচুপি থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা করার নেপথ্যে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার, নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, বিতর্কিত নির্বাচনে সব দোষ এখন পুলিশের ওপর দিয়ে পার পেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এসব নির্বাচনে মূল দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের আলোচনার বাইরে রাখা হয়েছে।

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আওয়ামী লীগের সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে সবচেয়ে বেশি দায় দেওয়া হয়েছে পুলিশ বাহিনীর ওপর। যদিও উচ্চাভিলাষী এবং অপেশাদার গুটিকয়েক কর্মকর্তার কারণে এ দায় পুলিশের কাঁধে এসে পড়েছে। কিন্তু বিতর্কিত তিনটি নির্বাচনে ভোট কারচুপি, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী করার নেপথ্যে এককভাবে পুলিশকে দায়ী করে ইতোমধ্যে অনেককে বাধ্যতামূলক অবসর এবং ওএসডি করা হয়েছে। কিন্তু সব দায় শুধু পুলিশের একার নয়। কারণ ২০১৮ সালের রাতের ভোটে পুলিশের ভূমিকা বিতর্কিত থাকলেও অন্যরাও দায় এড়াতে পারেন না। তর্কের খাতিরে যদি এটা মেনে নেওয়া হয় যে রাতে আওয়ামী লীগকে জেতাতে পুলিশ ব্যালট নৌকা প্রতীকের সিল দিয়ে ভর্তি করেছে, কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসার কেন এর প্রতিবাদ করেননি। ২০১৮ সালের যে বিতর্কিত রাতের ভোটের বিষয়টি তাদের সামনেই ঘটেছে। তখন তাদেরও এ কাজে সহযোগিতা ছিল। আর ২০১৪ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে পুলিশের চেয়ে ভূমিকা বেশি ছিল প্রিসাইডিং অফিসার, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সরকারি কর্মকর্তাদের। 

পুলিশ কর্মকর্তারা আরও বলেন, প্রতিটি জেলায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থাকেন। পাশাপাশি জেলার প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসকরা। কেন্দ্রের মূল দায়িত্ব ছিলেন নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনীত করা প্রিসাইডিং অফিসাররা। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ দায়িত্বে ছিলেন। তারা কেন সেসময় ভোট বাতিল করেননি। পুলিশ যদি জালিয়াতি করত তাহলে তারা কেন প্রতিবাদ করেননি। জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ইউএনও ও ডিসিরা ফলাফল ঘোষণা করেছেন। ভোট কারচুপির অভিযোগ থাকলেও নির্বাচন কমিশন সেই ফলাফল বাতিল করেনি। এই দায় নির্বাচন কমিশনের তখনকার দায়িত্বশীল প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সচিবসহ সবারই আছে। ওই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন কেন্দ্রভিত্তিক প্রিসাইডিং অফিসাররা। কারণ ব্যালটের মুড়ি (ব্যালট পেপার), ভোটবাক্স তাদের হেফাজতেই ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে ভোট কারচুপির পরিকল্পনা হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেই। স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক ভোট কারচুপির মূল মাস্টারমাইন্ড। তার তত্ত্বাবধানে দুটি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা মাঠপর্যায়ে জালিয়াতি বাস্তবায়ন করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, বিতর্কিত ৩ নির্বাচনে উপজেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমিসহ সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পুলিশ কেবল তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনে কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেছে। ওইসব নির্বাচনে বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। ভোটের লাইনে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল আনসার ভিডিপি। জেলা এসপি এবং ওসিদের নির্দেশে পুলিশ ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে। 

অন্যদিকে কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের (ব্যাংক কর্মকর্তা, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা) কর্মকর্তারা। এসব কর্মকর্তার বাইরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরও প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল; যাদের মনোনীত করা হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন কি না, সেটা আগে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করা হয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পৃথক আদেশে অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার ৮২ পুলিশ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্ত করা হয়েছে। ওএসডি হওয়া এ ৮২ কর্মকর্তার মধ্যে বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন জেলায় এসপি ছিলেন এমন কর্মকর্তাই বেশি। সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালের রাতের ভোটের সহযোগিতাকারী পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিতর্কিত ৩ নির্বাচনে বিভিন্ন জেলায় এসপি ছিলেন এমন কিছু কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। কাউকে কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠনো হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের শাসনামলে আস্থাভাজন হয়ে পদে থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে যুক্ত হওয়া, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন, হয়রানি এবং বিভিন্ন আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিতর্কিত কাজ করেছেন এমন কর্মকর্তাও রয়েছে। কিন্তু ওইসব নির্বাচনে যারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের সিংহভাগই চাকরিতে আছেন। তাদের অনেকে পদোন্নতি পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় অধিষ্ঠিত আছেন। আগামী নির্বাচনে এদের অনেকেই হয়তো আবার দায়িত্ব পাবেন নির্বাচন পরিচালনার জন্য।

২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় একটি জেলার এসপি হিসেবে থাকা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, তিনি যে জেলার এসপি ছিলেন ওই জেলায় ৪টি সংসদীয় আসন। ওই জেলায় পুলিশ কেন্দ্রের বাইরে দায়িত্বে ছিল। পুলিশের কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ ছিল। ভোটারদের আনা-নেওয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন আনসার ভিডিপি সদস্যরা। জেলা প্রশাসক ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তার নিয়ন্ত্রণে পুরো নির্বাচন শেষ করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, শুধু তার জেলায় নয় অন্যান্য জেলায়ও ওই নির্বাচনে পুলিশের কোনো ভূমিকা ছিল না। জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করা হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন ব্যক্তিদের মনোনীত করা হয়েছিল। এখন সব দায় এসে পড়েছে পুলিশের ওপর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘গণহত্যাসহ সরকারের পক্ষে কাজ করা পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের পর নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে দায়িত্বশীল অন্য যেসব ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের কারও বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখানে শুধু পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হবে না, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রিসাইডিং অফিসার, নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সরকারি কর্মকর্তাসহ বিতর্কিত ওই তিনটি নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যারা যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রত্যেকের তালিকা করে ব্যবস্থা দেওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। ওই তিন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন থেকে যাদের প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, উপজেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে যারা ছিলেন তাদের কেউ দায় এড়াতে পারেন না। বিশেষ করে সবচেয়ে বড় দায় রয়েছে তিন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সচিবসহ ইলেকশন কমিশনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রে প্রবেশ করে নৌকা মার্কার প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে সিল মারা, আগ থেকে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে রাখা, ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও উপস্থিতি বেশি দেখানোসহ নানা ধরনের অসংগতি ছিল। এসব দেখেও তখনকার ইলেকশন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে বলে সাফাই গেয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নজির স্থাপন করা উচিত; যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভোটারবিহীন নির্বাচন কোনো সরকার না করতে পারে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনের বিপরীতে ৪২ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগেই সারা দেশে সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক, বীমা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। এসব তালিকা জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরও মনোনীত করা হয় প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে। মনোনীত প্রিসাইডিং অফিসারদের নির্দেশনার বাইরে ভোট শুরু করার কোনো সুযোগ নেই। ভোট কারচুপি হলে বা বিতর্ক তৈরি হলে তা বাতিল করার ক্ষমতা আছে প্রিসাইডিং অফিসারদের। আর ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে আসতে পারে, যাতে কোনো ধরনের বাধা ও সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যাবতীয় নির্দেশনা দেন। ভোট গ্রহণ শেষে প্রিসাইডিং অফিসার ফলাফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেটি জেলা প্রশাসক অথবা নির্বাচন কমিশনে পাঠান। এরপর ফল ঘোষণা করা হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা