‘শরীয়াহ ব্যাংকিং দারিদ্র্য ও আয় বৈষম্যদূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে’

শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকিং দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আয় বৈষম্য কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, যাকাত, সাদাকা ও ওয়াকফের মতো ব্যবস্থার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে ইসলামিক ব্যাংকিং।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর বাড্ডায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ‘ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং বর্তমানে শুধু মুসলিম দেশেই নয় বরং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশেও জনপ্রিয় হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এই ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বছরে ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়। এটি একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে সুদের পরিবর্তে লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে লেনদেন করা হয়।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক। এছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দীন তালুকদার এবং সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফেলোস ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ শরীফ।  

এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা নবনির্মিত ‘ইনস্টিটিউট অফ ফিন্যান্স, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইকোনোমিক্স’ ভবনের ফলক উন্মোচন করেন।