প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫ ০০:৩৮ এএম
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫ ১১:১৭ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকাসহ সারা দেশে শুক্রবার (১৪ মার্চ) উদ্যাপিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোলপূর্ণিমা। বাংলাদেশে এ উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’ ও ‘হোলি’ নামেও পরিচিত।
দোল উৎসবে ভক্তরা সৃষ্টিকর্তার কাছে ন্যায়ের বিজয় ও অন্যায়ের বিনাশ প্রার্থনা করেছেন। পূজা ও কীর্তন ছাড়াও নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করেন ভক্তরা।
দোলযাত্রা ঘিরে সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশের সূচনা ঘটে সারা দেশে। পুরান ঢাকায় আবির খেলায়
মেতে ওঠেন সব বয়সের নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী। সেখানকার শাঁখারীবাজার ও
তাঁতীবাজারসহ বেশ কিছু এলাকার মন্দির, মঠ, রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়ি সবখানে মানুষ রঙের
উৎসবে যোগ দিয়েছেন। একে অন্যকে নানা রঙে রাঙিয়ে তারা অংশ নেন এ আনন্দযাত্রায়। আর আবির
খেলা কেন্দ্র করে রঙ, পূজার মোমবাতি, আগরবাতি, প্রসাদ, ফুলসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর
বিকিকিনি হয়েছে দেদার।
রাজধানীর অন্য
সব মন্দির ও মঠেও ছিল অনুরূপ আয়োজন। এসব মন্দিরে সকাল থেকেই নানা রঙের অর্ঘ্য নিয়ে
নানা বয়সি ভক্তকে আসতে দেখা যায়।
দোল উৎসবের মূল
আয়োজন হয় ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির আয়োজনে সেখানে
সকালে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ঢাকের বাদ্য ও উলুধ্বনি এবং পুরোহিতের ঘণ্টার ধ্বনিতে
মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দিরপ্রাঙ্গণ। ভজন কীর্তন, আবির খেলা ও হোমযজ্ঞ শেষে করা হয় প্রসাদ
বিতরণ। মন্দিরের পুরোহিত ধর্মমতনির্বিশেষে সবার মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করেন।
পূজা শেষে রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নান করিয়ে ভক্তরাও রঙ খেলায় মেতে ওঠেন।
রঙের ডালা আর পিচকারি হাতে তরুণ দলের এ উৎসব চলে দিনভর।
দোলযাত্রা হিন্দু
বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী এ দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধিকা এবং
তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার
দিনে আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় পরস্পর তারা রঙ খেলে আনন্দে
মেতে ওঠেন।