প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৫ ১৯:৪৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
গত তিনটি সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের বিদেশি নাগরিকত্বের প্রমাণ খোঁজা হচ্ছে। বিদেশি নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দশম, একাদশ ও সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের বিষয়ে এই খোঁজ নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস/মিশনে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। সাবেক এসব সংসদ সদস্যের কারও বিদেশি নাগরিকত্ব বা রেসিডেন্স কার্ড থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য ছিলেন, এমন ২৪ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব (কারও কারও ক্ষেত্রে রেসিডেন্স কার্ড বা গ্রিন কার্ড) থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে দুদক।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে বা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করলে তিনি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী হতে পারবেন না।
দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়া এমন ব্যক্তির সংখ্যা কত, তা জানতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে পাসপোর্ট নবায়ন করতে হয়। এ ছাড়া নো ভিসা রিকোয়ার্ডসহ (এনভিআর) অন্যান্য কনস্যুলার সেবা নিয়ে থাকেন তারা। এমন বাংলাদেশিদের বিষয়ে মিশন/দূতাবাস তথ্য দিতে পারে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিদেশি নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পরে মন্ত্রী-এমপির পদ লাভ করা ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে বিদেশে বাংলাদেশ মিশন/দূতাবাসের সহযোগিতা প্রয়োজন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বিদেশি নাগরিকত্ব নিতেই পারেন। বিদেশি নাগরিকত্ব নিলেও তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বহাল থাকে। বাংলাদেশ নাগরিকত্ব (অস্থায়ী বিধানাবলি) আদেশ ১৯৭২ এর আলোকে দেশের কোনো নাগরিক বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার সময় শপথ বাক্যে যদি বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যাহারের শপথ না থাকে, তবে তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বহাল থাকে। তখন দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে সরকারি চাকরি, সংসদ সদস্য হতে গেলে তার বিদেশি নাগরিকত্ব থাকা চলবে না।