প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫ ০১:০১ এএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৫ ১১:০০ এএম
ছবি : সংগৃহীত
আজ শনিবার অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন। ইতিহাসে অক্ষয় এই মাস বাঙালির স্বাধীনতা ও গৌরবের। হাজার বছরের শৃঙ্খল ভাঙতে বাঙালি এই মাসেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির সংগ্রামে। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের সূচনা ১৯৭১ সালের মার্চে।
মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সিঁড়ি বেয়ে ১৯৭১-এর মার্চ বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে নতুন বার্তা। পরাধীনতার গ্লানি মুছে দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি বাহিনীর শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মার্চে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি মুক্তির সংগ্রামে জ্বলে ওঠে।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে বলেন, ‘পাকিস্তানের একটি প্রধান দল পিপলস পার্টি এবং অন্য কয়েকটি দল ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ বেতারে এ ঘোষণা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ঢাকা। সেই বিক্ষোভ গড়ায় স্বাধীনতার আন্দোলনে। ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার কণ্ঠে স্লোগান ওঠে, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’
২ ও ৩ মার্চ তত্কালীন পাকিস্তানে সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেওয়া হয়। ৭ মার্চ তত্কালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে উঠে আসে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান। এরপর আসে ২৫ মার্চ সেই ভয়াল কাল রাত। নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী। ২৬ মার্চ শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। যার ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার আকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার লাল সূর্য।