× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পরিকল্পনায় গলদ

হিসাব মেলে না পাতালরেলে

আরমান হেকিম

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:২৬ এএম

গাফিক্স : প্রবা

গাফিক্স : প্রবা

নাগরিক জীবনে গতি আনতে জাদুর ঝাঁপি হয়ে দাঁড়িয়েছে মেট্রোরেল। তবে এই জাদুর ঝাঁপি বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে গাবতলী থেকে আফতাবনগর পর্যন্ত প্রস্তাবিত এমআরটি-৫ বা সাউদার্ন রুট। অতি উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে নেওয়া প্রকল্পটির সঙ্গে কোনো বাণিজ্যিক কিংবা প্রশাসনিক সংযোগ নেই। ভবিষ্যতে এটি অর্থনীতিতে কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি করবে তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও এই পাতাল মেট্রোর ব্যয় প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। এর পরেও অপ্রয়োজনীয় এবং শৃঙ্খলাপরিপন্থি প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। 

সম্প্রতি ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫ : সাউদার্ন রুট) শীর্ষক প্রকল্পের মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় এ আপত্তি জানানো হয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়কের উদ্যোগে নেওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

প্রকল্পটির প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৫৪ হাজার ৬১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয় রেখে প্রথমে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। এরপর ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রস্তাবের ওপর পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নানা খাতের ব্যয় প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি তুলে পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ফেরত পাঠানো হয়। 

পরবর্তীতে সড়ক বিভাগ প্রকল্পের ব্যয় ৬ হাজার ৮৯৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা কমিয়ে প্রকল্পটি কমিশনে পাঠায়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ৪৭ হাজার ৭২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এ ব্যয়ের মধ্যে সরকার দেবে ১৫ হাজার ৩৮৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ৩২ হাজার ৩৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা ধরা হয়। ঋণের উৎস হিসেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সভায় ঋণচুক্তির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছে কমিশন। আর প্রকল্পটির মেয়াদকাল ধরা হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

সূত্র জানায়, এমআরটি-৫-এর আওতায় গাবতলী থেকে দাশেরকান্দি ভায়া টেকনিক্যাল-কল্যাণপুর-শ্যামলী-কলেজগেট-আসাদগেট-রাসেল স্কোয়ার-কাওরান বাজার-হাতিরঝিল-তেজগাঁও-আফতাবনগর-আফতাবনগর সেন্টার-আফতাবনগর পূর্ব এবং নাসিরাবাদ পর্যন্ত মেট্রোরেল তৈরি করা হবে। এ ক্ষেত্রে গাবতলী থেকে আফতাবনগর পর্যন্ত ১৩ দশমিক ১০ কিলোমিটার পাতালরেল। এবং আফতাবনগর সেন্টার থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ৪ দশমিক ১০ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ তৈরি করা হবে। এই ১৭ দশমিক ২০ কিলোমিটারে থাকবে ১৫টি স্টেশন। এর মধ্যে মাটির নিচ দিয়ে হবে ১১টি এবং ৪টি থাকবে মাটির ওপরে।

ত্রুটিপূর্ণ পরিকল্পনায় প্রকল্প

ঢাকার যানজট নিরসনে রিভাইজড স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (আরএসটিপি)- ২০১৫ প্রণয়ন করে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। পরিকল্পনার আওতায় ২০৩৫ সালের মধ্যে পৃথক ৬টি মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। আরএসটিপির পূর্বের নাম ছিল এসটিপি। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, এসটিপির আওতায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণ করা হয়েছে। যা ত্রুটিপূর্ণ এবং অর্থের অপচয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। তা ছাড়া ডিটিসিএ বর্তমানে বাস রুট রেশনালাইজেশন নিয়েও কাজ করেছে। যেগুলো পুরোপুরি সফল হয়নি। কমিশন বলছে, ইউআরএসটিপি প্রক্রিয়াধীন এবং প্রকাশের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইউআরএসটিপিতে কী ধরনের পরিবর্তন সুপারিশ করা হয়েছে, কোন প্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়েছে, তা নির্ধারণের ভিত্তি এবং বৈশ্বিক ও দেশীয় সর্বশেষ বাস্তবতার আলোকে আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনা করা হয়েছে কি না তা জানা প্রয়োজন। 

বাণিজ্যিক বা প্রশাসনিক এলাকার সঙ্গে সংযোগ নেই

পরিকল্পনা কমিশন বলছে, এমআরটি-৫ পূর্ব-পশ্চিম কানেক্টিভিটি স্থাপন করবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে। আবার অন্য প্রকল্প এমআরটি-২, যেটি গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত যুক্ত করবে। এটির লাইন হবে গাবতলী-বেড়িবাঁধ-মোহাম্মদপুর-জিগাতলা-সায়েন্সল্যাব-নিউমার্কেট-আজিমপুর-গুলিস্তান হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত এবং একটি শাখা লাইন গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত যুক্ত হবে। কানেক্টিভিটি দেখতে এমআরটি-২ পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ স্থাপন করবে। এমআরটি-৫ না। 

এমআরটি-২-এর বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, একদিকে বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জ এবং অন্যদিকে বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলসহ পুরোনো ঢাকার অন্যান্য বাণিজ্যিক এলাকা এবং প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়কে সংযুক্ত করে। কিন্তু প্রস্তাবিত এমআরটি-৫ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো বাণিজ্যিক বা প্রশাসনিক এলাকা সংযুক্ত করে না। 

উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছিল

পরিকল্পনা কমিশন বলছে, উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিবেচনা করে মেট্রোরেলের যেসব প্রকল্প গ্রহণের রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছিল বর্তমানে দেশীয়, বৈশ্বিক আর্থিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় আমাদের সে সক্ষমতা রয়েছে কি না তা-ও বিশদভাবে পুনঃপর্যালোচনা করা প্রয়োজন। সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে নিকট ভবিষ্যতে যেসব ঝুঁকি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তার বিস্তারিত বিশ্লেষণসহ সামগ্রকিভাবে প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান ও এর ঝুঁকিসমূহ বিচার-বিশ্লেষণপূর্বক আলোচ্য বিষয়ে অর্থ বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের মতামত জানা প্রয়োজন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেসব প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছিল তার অনেক সূচকই এখনও নিম্নমুখী। জিডিপি, মাথাপিছু আয়, রপ্তানির প্রবৃদ্ধি সবকিছুই কমেছে। পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ, মূল্যস্ফীতি, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। 

অভিজ্ঞতা থাকার পরেও ১৬২৩ কোটির পরামর্শক

পরামর্শক নেওয়া একটি অসুখে পরিণত হয়েছে। এমআরটি৬ নির্মাণের অভিজ্ঞতা থাকার পরেও প্রকল্পটিতে ১ হাজার ৬২৩ কোটি টাকার পরামর্শক ব্যয় চাওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, পরামর্শক খাতে যে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি মোট ব্যয়ের ৩.৪ শতাংশ। বর্তমান কারিগরি প্রকল্পের আওতায় ফিজিবিলিটি স্টাডি, ডিটেইল্ড ইহ্ঝিনিয়ারিং ডিজাইন, প্রকিউরমেন্ট/টেন্ডার ডকুমেন্ট প্রস্তুতের পর শুধুমাত্র প্রজেক্ট কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনের জন্য এত অধিক পরামর্শক ব্যয় প্রাক্কলনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

শৃঙ্খলা পরিপন্থি ব্যয় প্রস্তাব

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পের আওতায় ‘রিজার্ভ ফর কমিটমেন্ট চার্জ অন লোন’ বাবদ ১২৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ চাওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। তবে পরিকল্পনা কমিশন মনে করছে, এ খাত দুটি প্রকল্পের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়। এ কারণে বাস্তবায়নকালে প্রকল্পের কাজ হিসেবে বিবেচনা করা যৌক্তিক নয়। এ কারণে এ দুটি খাত অন্তর্ভুক্ত করা আর্থিক ও শৃঙ্খলাপরিপন্থি হবে। 

এ প্রসঙ্গে সাবেক পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ বলেন, ‘সাধারণত এ দুই খাতের ব্যয় নির্ধারণ করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। তবে সরকারকে কমিটমেন্ট ফি ও ঋণের সুদ দিতেই হবে। পরিকল্পনা কমিশনকে দেখতে হবে এত বৃহৎ একটি প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে, সেগুলো ঠিকমতো ধরা হয়েছে কি না। ভালো করে যাচাই-বাছাই করে ব্যয় নির্ধারণ করা হলে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।’

আরও যেসব আপত্তি

প্রকল্প প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এর আওতায় সরকারি তহবিলের অর্থে ৫৪টি যানবাহন যেমনÑ ২১টি জিপ, ১৫টি পিকআপ, ১২টি মাইক্রোবাস ও ৬টি মোটরসাইকেল ভাড়া বাবদ ১০১ কোটি ৮১ লাখ টাকার প্রস্তাব আছে। এ ছাড়া বর্ধিত ভাড়া হিসেবে আরও কিছু অর্থ প্রয়োজন হবে বলে বলা হয়েছে। এ খাতের ব্যয় প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে পিইসি সভায়। এ ছাড়া সাত বছরের জন্য ২ হাজার বর্গমিটার অফিস ভাড়া বাবদ চাওয়া হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। কিন্তু মেট্রোরেল ভবনের বাইরে এ ব্যয় প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। প্রকল্পের আওতায় ইউটিলিটি স্থানান্তর বাবদ চাওয়া হয়েছে ৯৩০ কোটি টাকা। 

জানা যায়, প্রকল্পে রোলিং স্টক অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ইন ডিপোর জন্য চাওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৬৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা, মেইন লাইনে সিভিল ও স্টেশনের কাজ এবং ডিপোতে সিভিল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের জন্য ১৭ হাজার ৯৮৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল (ই অ্যান্ড এম) খাতের জন্য চাওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এসব খাতে ব্যয় প্রাক্কলনের ভিত্তি সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হবে। আরও যেসব খাতের ব্যয় প্রস্তাবের প্রশ্ন সামনে এসেছে সেগুলো হলোÑ দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ খাতে ২ কোটি ৯৯ লাখ, রাজস্ব খাতে সম্মানি বাবদ ২ কোটি ৭৫ লাখ, সেমিনার-কনফারেন্স বা ওয়ার্কশপ এক্সপেন্স খাতে ৫ কোটি, যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণে ৮ কোটি ৪০ লাখ, অফিস স্টেশনারির জন্য ১ কোটি ২৬ লাখ এবং লিগ্যাল এক্সপেন্স খাতের ৪৯ লাখ টাকা।

জানতে চাইলে এমআরটি-৫ প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুল ওহাব জানান, সংশোধিত ব্যয় প্রাক্কলন এখনও চূড়ান্ত নয়, কারণ এটি পরিকল্পনা বিভাগের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ঋণের সুদ পরিশোধের সময়কাল পুনর্গঠনের মাধ্যমে আনুমানিক খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে। এ ছাড়া কিছু বাড়িয়ে করা প্রাক্কলন চিহ্নিত হওয়ার পর খরচ কমানো হয়েছে। তা ছাড়া, বিস্তারিত নকশা ও প্রকৃত বাজারমূল্যের ভিত্তিতে মূলধন ব্যয় পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে, উল্লেখ করেন প্রকল্প পরিচালক।

আবদুল ওহাব আরও বলেন, ‘সাধারণত প্রাথমিক প্রাক্কলনে ভবিষ্যতের যেকোনো ধরনের সমন্বয়-ব্যয় মেটানোর জন্য অতিরিক্ত উপকরণ বিবেচনায় থাকে। কিন্তু এখন আমাদের হাতে বিশদ নকশা থাকায় সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে, যা অতিরিক্ত খরচ এড়াতে সহায়ক হয়েছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা