প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩২ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৯ পিএম
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে সর্বস্তরের মানুষ। ছবি : সংগৃহীত
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলমতনির্বিশেষে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে, যা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বৃদ্ধি পায়। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সব বয়সের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়।
অনেকে ফুলের ডালা কিংবা একগুচ্ছ ফুল নিয়ে আসেন, কেউ বা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে ভাষাশহীদদের স্মরণ করেন। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ সাদা-কালো ব্যানারে ছেয়ে যায়। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন বেদি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মিরপুরের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘শহীদ মিনারে জীবনে বেশ কয়েকবার এসেছি, কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারিতে এই প্রথম। আজ ভিড় কিছুটা কম, তাই আমার ১০ মাস বয়সি সন্তান মুনজেরিন ও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি। আমি চাই তরুণ প্রজন্ম ২১ ফেব্রুয়ারির গুরুত্ব বুঝুক ও এটি ধারণ করুক।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিদেশি কূটনীতিক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভাষাসৈনিকরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধানিবেদনের জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, আজ মাতৃভাষা আন্দোলনের ৭৩ বছর পূর্ণ হলো। ১৯৫২ সালের এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পুলিশ নির্মম গুলিবর্ষণ করে। এতে সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বারসহ অনেকে শহীদ হন। তাদের রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকার রাজপথ, যা বাঙালি জাতির ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে অনন্য গৌরবের প্রতীক হয়ে আছে।
জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। এ দিনটি বাংলা ভাষাভাষী ও বাঙালি জাতির জন্য গভীর শ্রদ্ধা ও গৌরবের।