প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:২০ পিএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৪ পিএম
সকাল ১১টার পরে উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলার ১১টি পয়েন্টে এ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রবা ফটো
‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগান নিয়ে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে পদযাত্রা শুরু করেছে ‘তিস্তা রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার পরে উত্তরাঞ্চলের ৫টি জেলার ১১টি পয়েন্টে এ কর্মসূচি একসঙ্গে শুরু হয়।
সোমবার রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু সংলগ্ন চর পয়েন্টে তিস্তা রক্ষা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তাবায়নের দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিন একই সঙ্গে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করছে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’। টানা ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মসূচি চলছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দ্বিতীয়দিনের কর্মসূচিতে সকাল থেকেই তিস্তা নদীর তীরে জমে উঠেছে মানুষের ঢল। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে রংপুরের তিস্তা ঘাট এলাকা। সেই সঙ্গে সোমবার থেকে তাবু টাঙিয়ে রাতযাপন করেছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। প্রতিবাদ হিসেবে দেশীয় সংগীত, নৃত্য সাংস্কৃতিক খেলাধুলা- এগুলোও পালন করেছেন তারা। মঙ্গলবারও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছে লালমনিরহাটের তিস্তা রেলসেতুর নিচে।
জানা গেছে, ভারত উজান থেকে ভাটির দিকে অর্থাৎ বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত হওয়া ৫৪টি নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ আটকে দিয়েছে। তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ গজলডোবা এলাকায় একটি বাঁধ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ফসলি মৌসুমে নদীতে পানি শুকিয়ে যায় এবং চর পড়ে এতে কৃষি ফসলে ব্যাপক পানির সংকট দেখা যায়। কৃষকরা পানির অভাবে ফসল ফলাতে পারে না। সেই সঙ্গে বর্ষাকালের পানির ভরা মৌসুমে ভারত পানি ছেড়ে দেয়, এতে পানি বৃদ্ধিতে এলাকা প্লাবিত হয় এবং পানি বৃদ্ধির স্রোতে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যায়। এতে বাস্তুহারা হয় লাখ লাখ মানুষ।