তথ্য ফাঁস রোধ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪৬ পিএম
ফাইল ফটো।
তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য ফাঁস বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই সেবা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাটা সার্ভার থেকে আর কোনো নাগরিকের তথ্য সরাসরি সরবরাহ করা হবে না।
তথ্য ফাঁস রোধে করণীয় নির্ধারণে গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন ও এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে মতবিনিময় সভার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এনআইডি মহাপরিচালকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, “যখন তারা (সংস্থাগুলো) তথ্য দেবে তখন আমরা তাদের বলব যে, এটি ‘মিল আছে’ বা ‘মেলেনি’। এক কথায়, ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’। তাতে করে এনআইডি ভেরিফিকেশন সেবা পেতে কোনো সমস্যা হবে না।”
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বর্তমানে মোট ১৮২টি প্রতিষ্ঠান ইসির ডাটা সার্ভার থেকে এনআইডি ভেরিফিকেশন সেবা নিচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাইয়ের জন্য আমাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য পেতে পারে। যেহেতু আমরা এনআইডির তথ্য ফাঁসের কিছু প্রমাণ পেয়েছি, তাই আমরা সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি দেখতে পারবে।’
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অধিদপ্তর বলেছে, ‘তথ্য ফাঁসের প্রেক্ষাপটে মূল্যবান (এনআইডি) তথ্য আরও ভালোভাবে সুরক্ষিত রাখতে আমরা ৬৪টি ব্যাংক, সরকারি সংস্থা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাদাভাবে মতবিনিময় সভায় বসেছিলাম।’
হুমায়ুন কবির বলেন, যেকোনো মূল্যে এনআইডির তথ্য সুরক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি টিমও গঠন করা হবে।
সোমবার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে হুমায়ুন কবির বলেন, বৈঠকে এনআইডি সেবাপ্রার্থীদের ঝুলে থাকা আবেদন নিষ্পত্তির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে তারা বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে তিন লাখ ৭৮ হাজার ঝুলে থাকা আবেদন নিষ্পত্তির ঘোষণা দিয়েছিল। তাই এই কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রায় ৫০ শতাংশ ঝুলন্ত আবেদনের নিষ্পত্তি ইতোমধ্যে করা হয়েছে।’